সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের দ্বৈরথ নিয়ে এখন আর কোনও রাখঢাক নেই৷ পাকিস্তানের কথা মাথায় রেখেই ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ঢেলে সাজাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ আরও দামী ও মারাত্মক সমরাস্ত্র, প্রযুক্তির আমদানি, সেনাবাহিনীতে আরও দক্ষ মানবসম্পদ নিয়োগ, ইসরো-র প্রযুক্তি ব্যবহার করে অসামরিক ক্ষেত্রে নজরদারি- সবই বাস্তবে ঘটছে৷ স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে যথেষ্ট চাপে ইসলামাবাদ৷ কিন্তু এই উদ্বেগ তাদের যেন দিশেহারা করে দিয়েছে৷ গত শনিবার পাক প্রধানমন্ত্রীর বিদেশনীতি সংক্রান্ত ব্যক্তিগত উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ ভারত মহাসাগরে নয়াদিল্লির পরমাণুকরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ কিন্তু তিনি জানেন না, ভারতীয় সেনার আধুনিকীকরণের মাত্র একটা অংশই তিনি দেখেছেন৷
(জীবন বাজি রেখে কীভাবে শত্রুশিবিরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিলেন জওয়ানরা?)
এই মুহূর্তে ৩৬৭ বিলিয়ন ডলার বাজেট বরাদ্দ হয়েছে ভারতীয় সেনার জন্য৷ এর পাশাপাশি, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সাহায্যের জন্যও তৈরি হচ্ছে বিশেষ থিঙ্কট্যাঙ্ক৷ এখনই অন্তত ২০০টি মার্কিন এফ-১৬ বা সুইডিশ গ্রিপেন ই ফাইটার জেট কেনার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ মজুত রয়েছে বায়ুসেনার ভাঁড়ারে৷ যদি মার্কিন সংস্থা লকহিড মার্টিন বা সুইস প্রতিরক্ষা সংস্থা ‘সাব’ ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে যুদ্ধবিমান তৈরিতে রাজি হয়৷ একইসঙ্গে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণেও সাফল্যের মুখ দেখেছে ভারত৷ এই সব দিকেই ইসলামাবাদকে দশ গোল দিতে পারে নয়াদিল্লি৷ আর এই সবই সম্ভব হয়ে হয়েছে কারণ গত তিন বছরের দেশের অর্থনীতি বহুগুণ এগিয়ে গিয়েছে৷ জাতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ৭.৩ থেকে ৮.৪-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করছে৷ তুলনায় পাকিস্তানের আর্থিক বৃদ্ধির হার একেবারেই নগণ্য, ৩.৬৫ থেকে ৪.২৫ এর মধ্যে৷
(যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ২০,০০০ কোটি টাকার গোলাবারুদ পাচ্ছে সেনা)
কিন্তু এই সব তথ্য ও পরিসংখ্যানের পাশাপাশি আরও একটি বিষয় রয়েছে৷ শত্রুর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় শক্তি হল দেশের অভ্যন্তরীণ সংহতি৷ শত্রুর বোমা দেশের পরিকাঠামো নষ্ট করতে পারে, কিন্তু দেশবাসীর মনোবল নয়৷ দেশের বৈজ্ঞানিক, ইঞ্জিনিয়ার ও প্রযুক্তিবিদদের সাহায্যে ছাইয়ের মধ্যে থেকেও ফিনিক্সের মতো কোনও দেশ জন্ম নিতে পারে যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল জাপান৷ সেই দিক থেকেও ভারতের দিক থেকে ঢের পিছিয়ে পাকিস্তান৷ পাকিস্তানের শিক্ষাব্যবস্থার হাল মর্মান্তিক৷ তাই শুধু অস্ত্রে বিনিয়োগ না করে শিক্ষাব্যবস্থা ও মানবসম্পদ উন্নয়নেও বিশেষ নজর দিতে হবে ইসলামাবাদকে৷
(শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনা সেনাকে রুখে দেব, মোদিকে আশ্বাস সিরিসেনার)
(কীভাবে সীমান্তের ওপারে সার্জিকাল স্ট্রাইক করেছিল ভারতীয় সেনা?)
The post মহাপরাক্রমশালী ভারতীয় সেনার সামনে কীভাবে টিকবে পাক রেঞ্জার্স? appeared first on Sangbad Pratidin.