নিউজিল্যান্ড: ২২০-৬ (ফিন অ্যালেন ৫০, ব্রেসওয়েল ৪৬)
পাকিস্তান: ১০৫-১০ (আবদুল সামাদ ৪৪, ইরফান খান ২৪)
নিউজিল্যান্ড ১১৫ রানে জয়ী।

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম দুটি ম্যাচে হেরে বসা পাকিস্তান, তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ফিরে এসেছিল। তরুণ তুর্কি হাসান নওয়াজ ৪৫ বলে ১০৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে পিছনে ফেলেছিলেন বাবর আজমকে। মনে করা হয়েছিল, পাকিস্তান হয়তো সিরিজের চতুর্থ টি-২০-তেও দারুণ ক্রিকেট উপহার দেবে। কিন্তু খেলা শুরু হতেই দেখা গেল অন্য ছবি। আবারও সেই পুরনো 'ছন্দে' দেখা গেল তাদের। ফের তারা কিউয়িদের কাছে আত্মসমর্পণ তো করলই, একই সঙ্গে তারা গড়ে ফেলল লজ্জার এক নজির।
কী সেই লজ্জার নজির? পাকিস্তান তাদের টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হেরে গেল। এদিন কিউয়িদের কাছে সোজা কথায় পাত্তাই পেল না তারা। ২০১৬ সালে কিউয়িদের কাছেই ৯৫ রানে পরাজিত হয়েছিল পাকিস্তান। সেই হারকেও এদিন ছাপিয়ে গেল তারা। বাবর, রিজওয়ানদের ছাড়া টি-২০ সিরিজ হেরে মুখ থুবড়ে পড়ল পাকিস্তান। রবিবার তারা হারল ১১৫ রানে। পাকিস্তানকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ পকেটে পুরল নিউজিল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে আপাতত তারা ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে।
এদিন টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠান পাক অধিনায়ক সলমন আলি আগা। কে জানত, তাঁর এই সিদ্ধান্তই উলটে চাপে ফেলে দেবে তাদের। এদিন ঝোড়ো শুরু করেন দুই কিউয়ি ওপেনার টিম সেইফার্ট ও ফিন অ্যালেন। সেইফার্ট করেন ২২ বলে ৪৪। ২০ বলে ৫০ করে আউট হন অ্যালেন। শেষের দিকে চালিয়ে খেলে মাইকেল ব্রেসওয়েল (২৬ বলে ৪৬) নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে যান ২২০ রানের পাহাড়ে। হ্যারিস রাউফ ছাড়া কোনও পাক বোলারই সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি। ২৭ রানে ৩ উইকেট পান তিনি।
জবাবে মাত্র ৯ রানের মধ্যে ৩ উইকেট খুইয়ে বসে পাকিস্তান। দেওয়াল লিখন যেন তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন আবদুল সামাদ (৩০ বলে ৪৪)। নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফি ২০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের পাশা বদলে দেন। জাক ফাউলকেসও পান ২৫ রানে ৩ উইকেট।