সংবাদ প্রতিদিনি ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে হচ্ছেটা কী! একদিকে ভোটে কারচুপির অভিযোগ স্বীকার করে পদত্যাগ করলেন এক নির্বাচনী আধিকারিক। অন্যদিকে, ইমরান খান-আইএসআই -এর যোগসাজসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসার স্বপ্ন অধরাই থেকে যেতে পারে নওয়াজ শরিফের, এমনটাই সূত্রের খবর। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত ডামাডোল পড়শি দেশের রাজনীতি।
নির্বাচনে কারচুপির দায় নিয়ে শনিবার পদত্যাগ করেন রাওয়ালপিণ্ডির প্রাক্তন কমিশনার লিয়াকত আলি চাট্টা। তাঁর দাবি, ভোটে কারচুপি হয়েছে। যে সমস্ত প্রার্থী হারছিলেন তাঁদেরে জিতিয়ে দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। লিয়াকত আলির কথায়, “ভোটে সমস্ত রিগিং, কারচুপির দায় আমি নিচ্ছি। একইসঙ্গে জানাচ্ছি, পুরো বিষয়টিতে দেশের প্রধান বিচারপতি ও মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সম্পূর্ণভাবে যুক্ত।” একইসঙ্গে তাঁর দাবি, এই অবিচারের জন্য আমাকে শাস্তি পাওয়া উচিত। আর যারা যারা এই কাজ করেছে তাদেরও শাস্তি পাওয়া উচিত।” উল্লেখ্য, নির্বাচনে কারচুপির বিরুদ্ধে পাকিস্তানজুড়ে আন্দোলনে নামকে চলেছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ। এর মধ্যেই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন পাকিস্তানের বর্ষীয়ান আমলা।
[আরও পড়ুন: মায়ের কোল থেকে সন্তানকে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ, সন্দেশখালিতে রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন]
প্রধান বিরোধী আসনে বসতে তৈরি ইমরানের দল। কিন্তু সরকার পক্ষ হিসেবে নওয়াজ শরিফের দল বিরোধী দল পিটিআইয়ের মুখোমুখি হতে তৈরি নয়। পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই সে কথা শোনা যাচ্ছে। একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, জোড়া ফলায় বিদ্ধ নওয়াজ শরিফ। একদিকে পিপিপি-র প্রধান আসিফ আলি জারদারিপ সঙ্গে দর কষাকষি কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠছে শরিফের পক্ষে। অন্যদিকে ইমরানের দলের রোজকার প্রতিবাদ-প্রতিরোধের ভয়ে কার্যত কাঁপছে নওয়াজের দল। সূত্রের দাবি, জেলেই ইমরানের সঙ্গে গোপন বৈঠক হয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের। এর পর থেকেই পাকিস্তানের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তবে কি ফের এবার পাক মসনদে বসতে চলেছেন ইমরানের দলের সদস্যই?