সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাস ডেস্ক: পারমাণবিক সরঞ্জাম নয়, বাণিজ্যিক পণ্য আটক করেছে ভারত। এমনই দাবি করল পাকিস্তান। নয়াদিল্লির ভূমিকার সমালোচনা করে পাকিস্তানের বিদেশ আধিকারিকের দাবি, এটা আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির পরিপন্থী। উল্লেখ্য, গত ২৩ জানুয়ারি মুম্বইয়ের কাছে চিন থেকে পাকিস্তানগামী একটি জাহাজ আটক করে শুল্ক আধিকারিকরা। তাতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে মদতদাতা অত্যাধুনিক কম্পিউটার পাঠানো হচ্ছিল বলে দাবি করে নয়াদিল্লি। কিন্তু সেই দাবির বিরোধিতা করল ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের তরফে জানানো হয়েছে, একেবারে বাণিজ্যিক অতি সাধারণ লেদ মেশিন নিয়ে আসা হচ্ছিল। আনছিল করাচির একটি বাণিজ্যিক সংস্থা যারা পাকিস্তানের বিভিন্ন গাড়ি তৈরির কারখানায় যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে। নথিতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা ছিল, কোন উদ্দেশ্যে যন্ত্রটি আনা হচ্ছে। এটি কেনার জন্য ব্যাঙ্কের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন হয়েছে। আর এই লেনদেনের সমস্ত নথি রয়েছে।” জাহাজটিকে আটক করা সম্পূর্ণ অনৈতিক বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ। তাদের দাবি, জাহাজটিকে আটক করতে অতি তৎপরতা দেখিয়েছে। যা নিন্দনীয়। এটা আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করছে। স্বাধীনভাবে পণ্য আনা-নেওয়ায় বাধা দিচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য বন্ধ স্কুলের পঠনপাঠন, কমিশনকে চিঠি ব্রাত্য বসুর]
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত ২৩ জানুয়ারি শুল্ক আধিকারিকরা মাল্টার ফ্ল্যাগে সাজানো সিএমএ সিজিএম অ্যাট্টিলা নামক জাহাজটিকে মুম্বইয়ের নভা সেবা বন্দরে আটক করা হয়। জানা গিয়েছে, জাহাজে থাকা মালপত্রের মধ্যে ইতালীয় সংস্থার তৈরি একটি কম্পিউটার নিউমেরিক্যাল কন্ট্রোল মেশিন (CNC) মিলেছে। এটি অভ্রান্তভাবে দ্রুত কাজ করতে পারে। ডিআরডিও জানিয়েছে, এই মালপত্র পড়শি দেশের পারমাণবিক অস্ত্রের পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য় করবে। উদ্ধার হওয়া বিলে দেখা গিয়েছে, জাহাজের পণ্য বা ‘কনসাইনমেন্টেটি পাঠিয়েছে সাংহাই জেএক্সই গ্লোবাল লজিস্টিক কর্পোরেশন লিমিটেড। পাঠানো হয়েছে পাকিস্তান উইংস প্রাইভেট লিমিটেডকে।