shono
Advertisement

Panchayat Election 2023: অভিমানে দলবদল প্রাক্তন কংগ্রেস নেত্রীর, বাহাত্তরের গীতাতেই আস্থা বিজেপির

টানা তিনবার কংগ্রেসের হয়ে গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন তিনি।
Posted: 01:48 PM Jun 30, 2023Updated: 06:04 PM Jun 30, 2023

ধীমান রায়, কাটোয়া: টানা তিনবার কংগ্রেসের হয়ে গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। ২০০৩ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধানের দায়িত্ব সামলেছেন। রাজনীতির সঙ্গে বহুদিন ধরেই যুক্ত। তবে বয়স এখন প্রায় ৭২ বছর। যে বয়সে একজন মহিলার সচরাচর ঘরবন্দি হয়েই দিন কাটে কাটোয়ার খাজুরডিহি পঞ্চায়েতের পানুহাট এলাকার বাসিন্দা গীতা দেবনাথ এই বয়সেও ভোটের (Panchayat Election 2023) ময়দানে দাপট দেখাচ্ছেন। তবে আর কংগ্রেসের সঙ্গে তার ‘সুসম্পর্ক’ নেই। শিবির বদলে এবার তিনি পদ্মফুলের প্রার্থী। কাটোয়া ১ পঞ্চায়েত সমিতির ৯ নম্বর আসনে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন গীতা দেবী। আর গীতাদেবীর প্রচারসঙ্গী তার অশীতিপর স্বামী নিশিকান্তবাবুও। কাটোয়ায় ‘মোষ্ট সিনিয়র’ প্রার্থীর ভোট প্রচার এলাকায় সাড়া ফেলেছে। নবীন প্রজন্মের দলীয় কর্মীরাও গীতাদেবীর কাছে ভোটের জন্য রীতিমতো ‘টিপস’ নিচ্ছেন।

Advertisement

কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের খাজুরডিহি পঞ্চায়েতের পানুহাট পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা নিশিকান্ত দেবনাথের স্ত্রী গীতা দেবনাথ। তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে। দুই মেয়ের অনেক আগেই বিয়ে হয়ে যায়৷ তাদের মধ্যে বড় রোগভোগে মারা গিয়েছেন৷ ছেলে নোটন দেবনাথ আসামে রেডিমেট পোশাকের ব্যবসা করেন। সেখানেই সপরিবারে থাকেন। নিশিকান্তবাবু আগে ছিলেন তাঁতশ্রমিক। কিন্তু বয়সের ভারে এখন সেই কাজ করতে পারেন না। ছেলের পাঠানো টাকাতেই বাবা মার চলে যায়। গীতাদেবী জানান, তিনি আজীবন কংগ্রেসের সঙ্গেই ছিলেন। ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রধানের দায়িত্ব সামলেছেন। তারপর অন্যান্য সহকর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেও তিনি যাননি। তখন রাজনীতি থেকে কিছুদিন দুরেই ছিলেন।

[আরও পড়ুন: ‘সঙ্গী বাছুন চুপচাপ!’ নতুন পোস্টে কিসের ইঙ্গিত দিলেন জিতু?]

কিন্তু এলাকায় তাকে রাজনীতি সচেতন মানুষ হিসাবেই সকলে চেনেন। রোজ নিয়ম করে সংবাদপত্র পড়েন। টিভিতে রাজনৈতিক খবরাখবরে নিয়মিত চোখ রাখেন। বস্তুত তার এই অভিজ্ঞতার ফসল ঘরে তোলার চেষ্টায় বিরোধীদল বিজেপি। গীতা দেবীর কথায়,” আমার এলাকায় যারা বিজেপি করে তাদের সকলকেই চিনতাম। প্রতিবেশী হিসাবে সুসম্পর্ক ছিল। এবার তারা এসে ভীষণ অনুরোধ করে ভোটে দাঁড়ানোর জন্য। তাই তাদের অনুরোধ ফেলতে পারিনি।” পাশাপাশি অতীতের সহকর্মীদের প্রতিও কিছুটা অভিমান শোনা গিয়েছে তার গলায়। গীতাদেবী বলেন,” একসময় সিপিএমের দ্বারা অনেক অত্যাচারিত হয়েছি। তাতেও লড়াই করে এসেছি। কিন্তু পুরানো দিনের কর্মীরা আর আমার খোঁজখবর রাখেনি। তাই বিজেপিতেই চলে এলাম।” কাটোয়া ১ পঞ্চায়েত সমিতির ৭ নম্বর আসনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন গীতা দেবী। আর এই আসনে হচ্ছে ত্রিমূখী লড়াই। রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএমের প্রার্থী।

ভোটের প্রচারে গীতা দেবীর পাশে পাশে থাকছেন নিশিকান্তবাবুও। তারা কখনও নিজেদের হাতে দলীয় পতাকা বাঁধছেন। কখনও বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন। নিশিকান্ত দেবনাথ বলেন,”যদিও আমাদের বয়স হয়েছে। কিন্তু স্ত্রীর ইচ্ছার অমর্যাদা তো করতে পারি না। কারণ এই বয়সকালে আমার একমাত্র ভরসা আমার স্ত্রী ই। তাই ওর পাশে আমি সবসময়ই আছি।” ভোরের আলো ফুটতেই বাড়ির কাজকর্ম শুরু করে তাড়াতাড়ি শেষ করে ফেলছেন গীতা দেবী। তারপর কখনও কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক। কখনও বাড়ি বাড়ি প্রচার। কখনও মিছিলে হাঁটছেন। ভোটে দাড়িয়ে বাড়িতে বসে থাকার পাত্রী নন তিনি। বিজেপির সাংগঠনিক (কাটোয়া) জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গীতা মাসিমা আমাদের দলের নবীনদের কাছে প্রেরণা হয়ে উঠেছেন। তাঁর অভিজ্ঞতা, নিষ্ঠা আমাদের সমৃদ্ধ করছে। আমরা আশাবাদী এলাকার মানুষ ওনার সততা ও নিষ্ঠার জন্য তাকে জেতাবেন।”
দেখুন ভিডিও:

[আরও পড়ুন: নিজের লম্বা চুল কেটে দান, ক্যানসার আক্রান্তদের পাশে থেকে প্রশংসা কুড়োচ্ছেন হুগলির ছাত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার