অর্ণব আইচ: অবশেষে ইডি দপ্তরে হাজিরা দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। এর আগে তিনবার তলব করা হয়েছিল তাঁকে। যদিও তাতে তিনি হাজিরা দেননি। সোমবার দুপুরে সিজি (CGO)ও কমপ্লেক্সে ইডি আধিকারিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তারের পরই ইডির হাতে এসেছিল একাধিক নথি। এরপরই একাধিক প্রভাবশালীর যোগের প্রমাণ উঠে এসেছে বলেও দাবি করেন তদন্তকারীরা। সেই সময় থেকেই ইডির নজরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য ও মেয়ে সোহিনী (Sohini Bhattyachariya)। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তারির পরপরই ইমেলে কল্যাণময়কে তলব করে ইডি। কিন্তু পরপর তিনবার তলব করা হলেও প্রাক্তন মন্ত্রীর জামাই হাজিরা দেননি। এরপরই চার্জশিটে কল্যাণময় ভট্টাচার্যের নাম উল্লেখ করে ইডি। জানানো হয়, তিনবার তলব করা হলেও তিনি হাজিরা দেননি। এই পরিস্থিতিতে সোমবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি জেরার মুখোমুখি হলেন কল্যাণময়।
[আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের ভ্রুকুটি, সপ্তমী থেকে বৃষ্টিতে ভাসতে পারে বাংলা]
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। গ্রেপ্তার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। অর্পিতার বাড়ি থেকে নগদ ৫০ কোটি টাকা ছাড়াও প্রচুর নথি পায় ইডি। হদিশ মেলে পিংলার একটি স্কুলের। যার চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই। এছাড়াও কল্যাণময়ের তিনটি কোম্পানির হদিশও পায় তদন্তকারীরা। সেগুলির মাধ্যমে মানি ট্রেল করা হত বলেও খবর। সেই সংক্রান্ত তথ্য পেতেই কল্যাণময়কে তলব করেছিল ইডি।
উল্লেখ্য, শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নয়, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যকেও।