সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমফানের থেকেও বড় ঝড় হতে চলেছে ‘যশ’। ৭২ ঘণ্টা থাকবে দুর্যোগ। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে একথাই জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একে করোনার কোপ, তার উপরে ঝড়ের ধাক্কা। যেন জোড়া ফলায় বিদ্ধ বাংলা। পাকা বাড়ি যাঁদের রয়েছে, তাঁরা অন্তত মাথা গোজার ঠাঁইটুকু পাবেন। কিন্তু দাসপুরের পান্তি পিসির সে ভাগ্য নেই। সাইক্লোন যশ আছড়ে পড়লে তাঁর একমাত্র মাটির ঘরের কী হবে? তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন স্বামীহারা মহিলা। পাশে দাঁড়ালেন অভিনেতা-সাংসদ দেব (MP Dev)। সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে মহিলার দাসপুরের বাড়িতে পাঠালেন প্রতিনিধি।
কিন্তু কে এই পান্তি পিসি? কী তাঁর কাহিনি? পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের সোনামুই গ্রামের বাসিন্দা। আসল নাম শিখা চক্রবর্তী। বয়স ৫৬। বেশ কিছু বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন। যা সহায় সম্বল ছিল তা দিয়ে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। তারপর থেকেই মাটির ঘরে একা বাস পান্তি পিসির। স্থানীয়রা তাঁকে এই নামেই ডাকেন।নিজের ছোট্ট ঘর নিয়ে কোনওমতে দিন চলে যাচ্ছিল দাসপুরের এই পান্তি পিসির। কিন্তু গত বছর আমফানের (Cyclone Amphan) তাণ্ডবে তাঁর মাথা গোজার একমাত্র সম্বলটি ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। সেই ধাক্কা এখনও পুরোপুরি সামলে উঠতে পারেননি ৫৬ বছরের মহিলা। এর মধ্যেই আবার আসছে ঘূর্ণিঝড় যশ (Cyclone Yaas)। আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছিল দাসপুরের বাসিন্দার। কোনওমতে ত্রিপল দিয়ে বাড়ি বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন।
[আরও পড়ুন: এটা কি ‘যশ’ আসার প্রস্তুতি? হট ফটোশুটের ভিডিও পোস্ট করে ট্রোলড নুসরত]
স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমে পান্তি পিসির এই খবর সম্প্রচারিত হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওটি। তা শেয়ার করেই দেবের কাছে সাহায্যের প্রার্থনা করেন এক নেটিজেন। টুইট শেয়ার করে সাহায্যের আশ্বাস দেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ দেব।
এরপরই পান্তি পিসি ওরফে শিখা চক্রবর্তীর বাড়িতে নিজের এক স্থানীয় প্রতিনিধিকে পাঠান। তাঁর সঙ্গে কিছু খাবারও দেন। আপাতত পান্তি পিসিকে স্থানীয় স্কুলে থাকার অনুরোধ জানিয়েছিলেন দেব। কিন্তু মহিলা সেখানে থাকতে চান না। পাশের এক বাড়িতে আশ্রয় পেয়েছেন তিনি। তাঁকে পাকা বাড়ি তৈরি করার আশ্বাসও দিয়েছেন দেব। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনও বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।