শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: করোনা(Coronavirus) পরীক্ষা করাতে আসা রোগীরা নিজেদের লালারস নিজেরাই সংগ্রহ করছেন! কোনওরকম নির্ধারিত ক্রমিক নম্বর ছাড়াই তা জমা দিচ্ছেন। জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদে। প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের ভূমিকা।
জানা গিয়েছে, হাসপাতালে আসা ওই রোগীদের নাম নথিভুক্তির জন্য একজন স্বাস্থকর্মী রয়েছেন। করোনা টেস্টের কিটও রয়েছে। সেই স্বাস্থ্যকর্মীর নির্দেশেই লালারস সংগ্রহ করছেন রোগীরা। বিষয়টি জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসেন মুর্শিদাবাদ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস। ঘটনার তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: কোভিড চিকিৎসায় ৬০% বেড বাধ্যতামূলক, বেসরকারি হাসপাতালের জন্য জারি একগুচ্ছ নির্দেশিকা]
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে জঙ্গিপুর মহকুমার সামশেরগঞ্জ বিধানসভার কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক ও জঙ্গিপুরের সংযুক্ত মোর্চার আরএসপির প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর। মুর্শিদাবাদ জেলায় দৈনিক করোনা সংক্রমণ দিনকে দিন বেড়ে চলেছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার, সহকারি সুপার, চিকিৎসক, নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ান-সহ মোট ৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন। এর ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। এরই মাঝে শনিবার হাসপাতালে করোনা টেস্ট করাতে এসে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হন উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীরা। আতঙ্কিত হয়ে অনেকেই টেস্ট না করে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হন।
বিষয়টি নিয়ে তীব্র অস্বস্তির মুখে পড়েছে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, “যে স্বাস্থ্যকর্মী রোগীদেরই ওইভাবে লালারস সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে।” অন্যদিকে, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জের লন্ডন মিশন হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঢেলে সাজানোর কাজও শুরু হয়েছে।