সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই বছরটা যেন নানা অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ। একাধিক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী রয়েছেন বিশ্ববাসী। সূর্যগ্রহণ, চন্দ্রগ্রহণ, গোলাপি চাঁদ থেকে শুরু করে ধূমকেতু দর্শন। সব ঘটনাই দ্রষ্টব্য হচ্ছে খালি চোখে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে আজ, মঙ্গলবার থেকেই আরও একটি মহাজাগতিক বিস্ময় আপনার অপেক্ষায়। বর্ষার মেঘ বাধা হয়ে না দাঁড়ালে স্পষ্ট চোখে পড়বে ধূমকেতু ‘নিওওয়াইস’ এর বর্ণচ্ছটা। টানা ২০ দিন সন্ধের আকাশে দেখা যাবে দুই লেজবিশিষ্ট অতি উজ্জ্বল এই ধূমকেতুকে।
সূর্য ডুবলেই উত্তরের আকাশে দেখা দেবে এই নিওয়াইস। ঝলমলে লেজ দেখা যাবে খালি চোখেই। এমনটাই জানিয়েছেন, ভুবনেশ্বর তারামণ্ডলের ডেপুটির ডিরেক্টর পাথানি সামন্ত। সৌরমণ্ডলের বাইরে সুদূর ‘ওরট ক্লাউড’ (Oort Cloud) থেকে আসা এই ধূমকেতুর অফিশিয়াল নাম ‘সি/২০২০ এফ৩’। তাকেই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন – নিওওয়াইস (Neowise)। মার্চ মাসে সৌরমণ্ডলে পা রেখেছে এই ধূমকেতুটি। এতদিন সূর্যের চারপাশে চক্কর কেটে এবার পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে। পৃথিবী থেকে এখন তার দূরত্ব ২০ কোটি কিলোমিটারেরও কম। ধীরে ধীরে আরও কাছাকাছি, পাশাপাশি চলে আসছে। রাতের আকাশে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে তার রূপ।
[আরও পড়ুন: কৃষ্ণগহ্বরে আলোর ঝলকানি! এ কোন মহাজাগতিক রহস্যের মুখে বিজ্ঞান?]
ওয়াশিংটন, ব্রিটেনের আকাশে ইতিমধ্যেই এক ঝলক দেখা গিয়েছে নিওওয়াইস নামের এই জোড়া-লেজ বিশিষ্ট ধূমকেতু। সন্ধে নামলেই আকাশে কোথাও ক্ষীণ আলোর রেখা, আবার কোথাও ঝিকিমিকি আলোর লেজ নিয়ে নিওয়াইসকে ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন অনেকে। হয়ত তাকে ধূমকেতু বলে তিনতে পারেননি। ভুবনেশ্বর প্ল্যানেটোরিয়ামের ডেপুটি ডিরেক্টর পাথানি সামন্ত বলেছেন, ”প্রায় সাত হাজার বছর পরে ব্রহ্মাণ্ডের হিমশীতল রাজ্য থেকে দিক ভুলে ছুটে এসেছে এমন ধূমকেতু।”
[আরও পড়ুন: ‘কিউরিওসিটি’র পর মঙ্গলে নাসার রকেট ‘পারসিভিয়ারেন্স’, কৌতূহল নিরসন করবে অধ্যবসায়]
এতদিন সূর্যোদয়ের আগে উত্তর-পূর্ব আকাশে দেখা দিচ্ছিল নিওওয়াইস। মঙ্গলবা থেকে উত্তর-পশ্চিম আকাশে সূর্যাস্তের পরেই তার আগুনে রূপ নিয়ে জ্বলে উঠবে, যা দৃশ্যমান হবে ভারতের আকাশ থেকে। খালি চোখে দেখা যাবে প্রায় ২০ মিনিট। আর ভারতের আকাশে নিওওয়াইস অতিথি হয়ে থাকবে টানা ২০ দিন। যে কোনও সন্ধেয় পরিষ্কার আকাশে আপনার চোখে পড়বেই নিওওয়াইসের অপরূপ রূপ।
The post কাছে আসছে ‘নিওওয়াইস’, আজ থেকে সন্ধের আকাশে দৃশ্যমান ধূমকেতুর বর্ণচ্ছটা appeared first on Sangbad Pratidin.