বাড়তে বাড়তে ১.২ লক্ষ টাকা পেরিয়ে গিয়েছে ১০ গ্রাম সোনার দাম। বিশ্ব রাজনীতি অস্থির হওয়ার কারণে আগামী দিনে 'হলুদ ধাতু' আরও দামি হবে বলে মনে করছেন আর্থিক বিশ্লেষকদের একাংশ। ফলে প্রায় প্রতি দিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোনায় লগ্নি। এই পরিস্থিতিতে সোনার গয়নায় বিনিয়োগ না করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কোটাক ইনস্টিটিউশনাল ইকুইটিজের দাবি, সোনার অলঙ্কারে বিনিয়োগ সবচেয়ে খারাপ বিনিয়োগগুলির মধ্যে অন্যতম। তার চেয়ে সোনার কয়েন বা বারে বিনিয়োগ করা অনেক ভাল।
কেন এই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে? বিশেষজ্ঞদের মত, প্রথমত, গয়নায় মেকিং এবং ওয়েস্টেজ চার্জ থাকে। মেকিং চার্জ ৫-১০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। ওয়েস্টেজ চার্জও হতে পারে ৩-১৫ শতাংশ পর্যন্ত। ফলে বাজারে যে দামে সোনা বিক্রি হয়, তার চেয়ে বেশি দামে সোনার গয়না কিনতে হয়। দ্বিতীয়ত, সোনার গয়না বিক্রি করলে পুরো দামও ফিরে পাওয়া যায় না অনেক সময়।
প্রতীকী ছবি
বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন, সোনার গয়নায় নকশার আলাদা করে কোনও মূল্য নেই। ব্যবসায়ীরা শুধু খাঁটি সোনার ওজন দেখে দাম দেয়। এ ছাড়াও সোনা খাঁটি কি না, তা নিয়েও ধন্দ থাকে। ব্যবসায়ীরা ২২ ক্যারেটের দাবি করলেও, অনেক সময় মিশ্রণ বেশি থাকতে পারে। অধিকাংশ সময় তা গয়না কেনার পরেই ধরা পড়ে। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল, হঠাৎ জরুরি প্রয়োজনে গয়না বিক্রি করাও সহজ হয় না। সঠিক দাম পেতেও সময় লাগে। এ ছাড়াও গয়না চুরি বা হারিয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা বেশি থাকে। ব্যাঙ্কে লকার নিলে, তার জন্যও বাড়তি খরচ রয়েছে। গয়না কিনে পরে বিক্রি করলে সাধারণত লাভের বেশিরভাগটাই মেকিং চার্জে খোয়া যায়।
