Advertisement
আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার ৬ মাস পার, মেঘানিনগরের ছাত্রাবাস এখন ‘ভূতুড়ে’, আজও শোনা যায় হাহাকার
দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬০ জন।
গত ১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান আকাশে ওড়ার কয়েক সেকেন্ড পরই ভেঙে পড়ে মেঘানিনগরের বিজে মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের একটি ছাত্রাবাসের উপর। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬০ জন।
দুর্ঘটনার পর পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় ৬ মাস। এখন সেই ছাত্রাবাস শুধুই ধ্বংসস্তূপ। সকালে কিছু কাক এবং পাখির ডাক শোনা গেলেও রাতে এলাকাটি থাকে নিস্তব্ধ। একেবারে ‘ভূতুড়ে’। মাথার উপর দিয়ে কোনও বিমান গেলেও এখন আতঙ্কে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বর্তমানে ওই ধ্বংসস্তূপে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ নিষেধ। দিন-রাতে মোতায়েন করা হয়েছে এক রক্ষীকে। তাঁর নাম সঞ্জয়ভাই। তাঁর কথায়, “এলাকাটি এখন খুবই নিস্তদ্ধ থাকে। শুধুমাত্র কয়েকটি পাখির ডাক শোনা যায়।” তবে হাওয়ায় কান পাতলে শোনা যায় আরও কিছু শব্দ। তা হল মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনার হাহাকার।
ছাত্রাবাসটির ভিতরে এখনও পড়ে রয়েছে পোড়া আসবাবপত্র, শয্যা। কোথাও বা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আধ পোড়া পাঠ্যবই, অর্ধদগ্ধ জামাকাপড়, ছেঁড়া অ্যাপ্রন ইত্যাদি। শুধু তাই নয়, ছাত্রাবাসটির সামনে এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে পুড়ে যাওয়া স্কুটার এবং গাড়িগুলির কঙ্কাল। চোখ বুজলে আজও ভেসে ওঠে ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনার দৃশ্য।
দুর্ঘটনার কিছু সময় আগে ছাত্রাবাস সংলগ্ন ক্যান্টিনে খেতে বসেছিলেন বহু পড়ুয়া। কিছু পড়ুয়া নিজের ঘরে পড়াশোনা করছিলেন। ‘অভিশপ্ত’ সেই বিমানটি মুখ থুবড়ে পড়তেই ঝলসে যান অনেকে। কয়েকজন পড়ুয়াকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
ছাত্রাবাসটি থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে রয়েছে বছর ষাটেকের মহেন্দ্রসিংহ জাদেজার দোকান। ওই প্রৌঢ়ের কথায়, “এরকম ভয়াবহ দৃশ্য আমি আমার জীবনে দেখিনি। সেদিন গ্রীষ্মের প্রখর তাপে পুড়ছিল চারদিক। রাস্তায় লোকজন বেশি ছিল না। হঠাৎ বিকট সেই শব্দ।” তিনি আরও বলেন, “আজও যখন কোনও বিমান মাথার উপর দিয়ে যায়, তখন সেদিকে তাকাতে পারি না।”
Published By: Subhodeep MullickPosted: 06:52 PM Dec 15, 2025Updated: 06:52 PM Dec 15, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
