সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর অনুগামীরা বলেন এটা ‘হাগপ্লোমেসি’। যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় আলিঙ্গন কূটনীতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নাকি এই ‘হাগপ্লোমেসি’ বা ‘আলিঙ্গন কূটনীতি’র ওস্তাদ। দেশে হোক বা বিদেশে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়কদের হুটহাট করে আলিঙ্গন করার একটা অভ্যেস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) আছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই আলিঙ্গন করার স্বভাবই এবার তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলে দিল। সেই সঙ্গে বিদেশি সংবাদমাধ্যমে শুনতে হল তির্যক মন্তব্যও।
[আরও পড়ুন: ‘সংবেদনহীন’, দিওয়ালির আগে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মোদি সরকারকে বিঁধলেন রাহুল]
সম্প্রতি গ্লাসগোয় পরিবেশ সম্মেলনে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যে কোনও রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমেই আলিঙ্গনে আবদ্ধ হন। সেই স্বভাবমতো জলবায়ু সম্মেলনে রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকেও আলিঙ্গন করে বসেন প্রধানমন্ত্রী। করোনাকালে এই আলিঙ্গন একেবারেই ভালভাবে নিচ্ছে না গোটা বিশ্বের কূটনৈতিক মহল। এদিন পরিবেশ সম্মেলনে গিয়ে প্রথমে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে হাতের মুঠো ঠেকিয়েই সম্ভাষণ সারেন মোদি। কিন্তু গুতেরেসের কাছে গিয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। যে আলিঙ্গনে দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়ে যান গুতেরেস। মোদি আলিঙ্গনে উদ্যত হলেও সেভাবে সাড়া দেননি গুতেরেস। বরং গোটা বিষয়টি যে তিনি পছন্দ করছেন না, সেটা তাঁর মুখভঙ্গিতেই বোঝা যায়।
গুতেরেস ছাড়াও অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদেরও জড়িয়ে ধরেছেন মোদি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলি প্রশ্ন তুলছে, করোনা কালে এভাবে আলিঙ্গনের প্রয়োজন কী? এক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম আবার রীতিমতো রসিকতা করেছে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের আলিঙ্গন নিয়ে। তাদের খবরের শীর্ষক ‘উষ্ণতা বাড়ছে! প্রধানমন্ত্রী মোদির নিবিড় আলিঙ্গনে অস্বস্তিকর মুহূর্তে পড়তে হল আন্তোনিও গুতেরেসকে (António Guterres)।’ শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়াতেও মোদি এবং গুতেরেসের এই আলিঙ্গন নিয়ে মিমের বন্যা বইছে। অনেকেই রসিকতা শুরু করে দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই! শ্রীনগর-শারজা বিমান চলাচলে ফের বাধা ইমরান সরকারের]
বস্তুত জলবায়ু সম্মেলনের আগে জি-২০ (G-20) সম্মেলনে গিয়েও একাধিক বিশ্বনেতাকে আলিঙ্গন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনকী অন্য নেতাদের মুখে মাস্ক থাকলেও মোদির মুখে মাস্কও ছিল না। সেটা নিয়েও কম লেখালেখি হয়নি। এবার গ্লাসগোর জলবায়ু সম্মেলনে নতুন করে অস্বস্তিকর মুহূর্তে পড়ে গেলেন মোদি।