সুকুমার সরকার, ঢাকা: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে জ্বলে উঠেছিল বাংলাদেশ। ছাত্র আন্দোলনে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে বিএনপি-জামাতের মতো সমমনস্ক দলগুলোর বিরুদ্ধে। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হিংসায় জড়িতরা নাশকতা চালিয়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় বর্মাকে এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার দুপুরে ঢাকায় গণভবনে প্রণয় বর্মা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন হাসিনার সঙ্গে। বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনারকে হাসিনা বলেন, "এটা কোনও সাধারণ আন্দোলন ছিল না। এটা এক পর্যায়ে প্রায় সন্ত্রাসী হামলার মতো হয়ে গিয়েছিল। হিংসা ছড়িয়ে শ্রীলঙ্কার মতো সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।" এই ছাত্র আন্দোলনে জীবন ও সম্পদহানির ঘটনায় হাসিনার কাছে শোকপ্রকাশ করেন প্রণয় বর্মা।
[আরও পড়ুন: অবশেষে স্বস্তি, ১৫ দিন পর বাংলাদেশে চালু ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ]
হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর প্রণয় বর্মা সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, "বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে পরিস্থিতির স্বাভাবিক হওয়া ও অর্থনীতি ফিরে আসাকে স্বাগত জানাই আমরা। ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে ভারত সব সময় বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের উন্নতি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিকে সমর্থন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর খুবই ফলপ্রসু হয়েছে। বাংলাদেশের ২০৪১ এবং ভারতের ২০৪৭ ভিশনের ভিত্তিতে দুদেশের সম্পর্ক সহযোগিতার এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। ডিজিটাল ও গ্রিন অংশীদারত্ব, স্যাটেলাইটের যৌথ উন্নয়ন, ব্লু -ইকোনোমি, ওশানোগ্রাফি, ফিনটেক-সহ নতুন নতুন ক্ষেত্রে দুদেশ একসঙ্গে কাজ করবে।"
এদিকে, প্রায় দুসপ্তাহ বন্ধ থাকার পর অবশেষে বাংলাদেশে সচল হয়েছে ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ। ছাত্র আন্দোলনে ঝরেছে শতাধিক প্রাণ। এই হিংসাত্মক আন্দোলনের জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয় ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটক, ইউটিউব-সহ অন্যান্য সোশাল মিডিয়া। দুসপ্তাহ পর গতকাল, বুধবার এই সমাজ মাধ্যমগুলোর ক্যাশ সার্ভার খুলে দেওয়া হয়। এই আন্দোলনকে হিংসাত্মক করে তোলা ও শিক্ষার্থীদের ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে হাসিনা সরকার।