সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘অগ্নিপথ’ (Agnipath) প্রকল্পে নিয়োগের প্রতিবাদে প্রবল বিক্ষোভ চলছে গোটা দেশে। তাণ্ডব চলছে বিহার, তেলেঙ্গানায়। বাদ যায়নি বিজেপি (BJP) শাসিত মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh), উত্তরপ্রদেশও (Uttar Pradesh)। ইতিমধ্যেই রেলের সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে ৭০০ কোটিরও বেশি। এই প্রকল্পের প্রতিবাদে পথে নেমেছে বিরোধীরাও। অবশেষে এই প্রথম এই বিতর্কে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর বক্তব্য, দেশের নাগরিকদের হিতের জন্যই সরকার নানা প্রকল্পের পরিকল্পনা করে। কিন্তু তাতে রাজনীতির রং লেগে গেলে আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়।
রবিবার প্রগতি ময়দানের প্রধান টানেলের উদ্বোধনে এসে প্রধানমন্ত্রীকে এমনই বক্তব্য রাখতে শোনা যায়। তাঁর কথায়, ”এটা আমাদের দেশের দুর্ভাগ্য যে বহু ভালো জিনিসের পরিকল্পনা করা হয় ভাল উদ্দেশ্যে। কিন্তু রাজনীতির রং লেগে সেই উদ্দেশ্যই ব্যাহত হয়ে যায়।”
[আরও পড়ুন: প্রেমের ফাঁদে পড়ে পাকিস্তানকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গোপন তথ্য পাচার! ধৃত ডিআরডিও ইঞ্জিনিয়ার]
অগ্নিপথ প্রকল্প ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দেশজুড়ে। সেনাবাহিনীতে নিয়োগের নয়া নিয়মের প্রতিবাদে প্রবল বিক্ষোভ চলছে গোটা দেশজুড়ে। উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর (Indian Army) লোকবল অক্ষুন্ন রেখে আধুনিকীকরণের স্বার্থে কেন্দ্রের নতুন প্রকল্প অগ্নিপথ। এর মাধ্যমে সেনায় অস্থায়ীভাবে ৪ বছরের জন্য কর্মী নিয়োগ হবে। যাদের পোশাকি নাম ‘অগ্নিবীর’। কিন্তু কেন্দ্রের ঘোষিত এই অগ্নিপথ (Agnipath Scheme) প্রকল্প দেশজুড়ে সেনায় চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। এভাবে অস্থায়ী পদে নিয়োগ নিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা অসন্তুষ্ট। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।
সরকারের দাবি, এভাবে সেনায় নিয়োগ হলে বেতন এবং পেনশন বাবদ অর্থ সাশ্রয় হবে। সেই টাকা সেনার প্রযুক্তির উন্নতির কাজে লাগানোর ভাবনা রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। কেনা হবে আরও আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র। যুব সমাজকে দেশসেবা এবং প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ দিতে চাইছে সরকার। বর্তমানে ভারতীয় সেনা বাহিনীর জওয়নাদের গড় বয়স ৩২ বছর। অগ্নিবীরদের নিয়োগের ফলে ১০ বছরের মধ্যে সেটা নেমে আসবে ২৬ বছরে। এক্ষেত্রে বাহিনী তরতাজা এবং শারীরিক সামর্থ্যে ভরপুর হবে বলে দাবি কেন্দ্রের।