সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইটালির মসনদে বসতে চলেছেন ‘মুসোলিনিপন্থী’ জিওর্জিয়া মেলোনি। সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়েছে তাঁর পার্টি ‘ব্রাদার্স অফ ইটালি’। ফলে দেশটির প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন মেলোনি। বুধবার তাঁকে নির্বাচনে জয়ের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এদিন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন, “জিওর্জিয়া মেলোনিকে ইটালির সাধারণ নির্বাচনে জয়ের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করে আপনার সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি।” বলে রাখা ভাল, নয়াদিল্লি ও রোমের সম্পর্ক যথেষ্ট মজবুত। ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে গুরুত্ব দেয় কেন্দ্র সরকার। সেই সহযোগিতা আরও বাড়িয়ে তোলার বার্তাই এদিন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
[আরও পড়ুন: আবের শেষকৃত্যে যোগ দিতে জাপানে মোদি, প্রধানমন্ত্রী কিশিদার সঙ্গে সারলেন বৈঠক]
অতি দক্ষিণপন্থী নেত্রী ও বেনিটো মুসোলিনির ভক্ত হিসাবেই পরিচিত জিওর্জিয়া মেলোনি। গত রবিবার ইটালির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরে দেখা যায়, ইটালির সেনেটে ১১৪টি আসনে জয় পেয়েছে মেলোনি ও তাঁর জোট সঙ্গীরা। ইটালির দুই প্রাক্তন দক্ষিণপন্থী প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনি ও মাত্তেও সালভিনির দলের সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠন করবেন জিওর্জিয়া মেলোনি। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই এক ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে হেনস্তার ভিডিও প্রকাশ করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মেলোনি।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে জোট শরিকদের আস্থা হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন মারিও দ্রাঘি (Mario Draghi)। পতন হয় সরকারের। দেশের নতুন নেতা বেছে নিতেই নির্বাচন হয় ইটালিতে। সমগ্র ইউরোপব্যাপী দক্ষিণপন্থার বাড়বাড়ন্তের প্রভাব পড়ে ইটালিতেও। ইটালির রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট রক্ষণশীল নেত্রী হিসাবেই পরিচিত মেলোনি। বহুবার গর্ভপাতের অধিকারের বিরোধিতা করেছেন তিনি। তাঁর অভিবাসন বিরোধী অবস্থান সবার জানা। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকেও আলাদা হওয়ার পক্ষেই মত রয়েছে তাঁর। তবে কিছুদিন আগেই নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে মেলোনি বলেছিলেন, তিনি গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেবেন, কেউ যেন এমন আশঙ্কা না করেন। নানা ধরনের নেতিবাচক কারণে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি।