সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী মাসেই রাশিয়ায় যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। এমনটাই দাবি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের। রাশিয়ার বিদেশ দপ্তরের এক সূত্র নাকি এমনটাই দাবি করেছে। তবে ভারতের তরফে এখনও এই সফর নিয়ে কিছু বলা হয়নি। সত্যিই মোদি (PM Modi) রাশিয়ায় গেলে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরে এটাই হবে তাঁর প্রথম মস্কো সফর।
গত মার্চেই রাশিয়া মোদিকে সেদেশে যাওয়ার জন্য তাদের তরফে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রসঙ্গত, তিনি শেষবার রাশিয়ায় (Russia) গিয়েছিলেন ২০১৯ সালে। যদিও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পাঁচদিনের মস্কো সফরে গিয়েছিলেন। কিন্তু এবার মোদি রাশিয়ায় গেলে তা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: শপথের সময় প্যালেস্টাইনের জয়ধ্বনি, উঠল ওয়েইসির সাংসদ পদ খারিজের দাবি]
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে প্রবেশ করে রুশ সেনা। সেই থেকে সংঘর্ষ চলছে। গত দুবছরেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা যুদ্ধকে সরাসরি নিন্দা করেনি 'রুশবন্ধু' ভারত। তবে নয়াদিল্লি বার বার বলেছে, দুদেশের উচিত কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া। এদিকে ২০২২ সাল থেকে রাশিয়ার আরও বড় বাণিজ্যিক সহযোগী হয়ে উঠেছে ভারত। বিশেষত অপরিশোধিত তেলা কেনার ক্ষেত্রে। ২০২২ অর্থবর্ষে যেখানে ২.৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তেল কিনেছিল নয়াদিল্লি, সেখানে গত অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয় ৪৬.৪৯ মার্কিন ডলার।
সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন। শিশুদের সঙ্গে হাসিমুখে দেখা যায় তাঁদের। একসঙ্গে পুতিন আর জিনপিং যেন ‘ঘনিষ্ঠ’ বন্ধু। চিনের (China) অর্থনীতির ভূয়সী প্রশংসাও করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। জিনপিংকে (Xi Jinping) ‘ভাইয়ের মতোই ঘনিষ্ঠ’ বলেও দাবি করেন তিনি। যদিও পুতিনকে (Vladimir Putin) ‘ভালো বন্ধু ও প্রতিবেশী’ বলে সুখ্যাতি করলেও তিনি মোটেই আবেগে ভেসে যাননি। ছিলেন একেবারে ‘ক্যালকুলেটিভ’। যা পরিষ্কার করে দিয়েছিল, পুতিন যতটা আগ্রহী সম্পর্ক রাখতে, জিনপিং ততটা নন। তবে সব মিলিয়ে রাশিয়াকে পাশেই চায় চিন। এই পরিস্থিতিতে ভারতও যে 'বন্ধু' রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইবে তা পরিষ্কার। তাই মোদির রাশিয়া সফর ঘিরে আগ্রহ যে তুঙ্গে থাকবে তা বলাই বাহুল্য।