সংবাদ প্রতিদিন ডিডিটাল ডেস্ক: চলতি লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha 2024) প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে ২৬/ ১১ মুম্বই হামলা। ওই কুখ্যাত হামলার অন্যতম চক্রী আজমল কাসভকে ফাঁসিতে ঝোলানো আইনজীবী উজ্জ্বল নিকমকে টিকিট দিয়েছি বিজেপি (BJP)। সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা বিজয় নামদেবরাও ওয়াদেত্তিয়ার যা নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে তোপ দাগেন। তিনি দাবি করেন, পাকিস্তানি জঙ্গি আজমল কাসভ নয়, আরএসএস মতাদর্শের পুলিশকর্মীর গুলি লেগেই শহিদ হয়েছিলেন মহারাষ্ট্র পুলিশের আধিকারিক হেমন্ত কারকারে! এই মন্তব্যকে সমানে রেখে মঙ্গলবার ২৬/১১ সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেসকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পালটা গেরুয়া নেত্রী সাধ্বী প্রজ্ঞার বিতর্কিত মন্তব্যকে মনে করাল রাহুল গান্ধীর দল।
মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের আহমদনগরে জনসভা করেন মোদি। এদিন বিজয় নামদেবরাওয়ের মন্তব্য তুলে তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস এখন আজমল কসাভের সঙ্গী।' এমনকী পাক জঙ্গিদের সঙ্গেও কংগ্রেসের যোগ আছে বলে ইঙ্গিত করেন তিনি। মোদির কথায়, কংগ্রেসের ‘বি-টিম’ এখনও সীমান্তে সক্রিয়। উল্লেখ্য, রবিবার কংগ্রেস নেতা বলেন, “বিরিয়ানির প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসকে বিঁধেছিলেন উজ্জ্বল নিকম। কিন্তু আদালতে গিয়ে ঠিকঠাক সাক্ষ্য দেননি তিনি। যে গুলি লেগে হেমন্ত কারকারের মৃত্যু হয়েছিল, সেই গুলিটা মোটেই কাসভের বন্দুক থেকে বেরয়নি। এমন এক পুলিশকর্মীর গুলিতে হেমন্তের মৃত্যু হয়, যিনি সেই সময়ে আরএসএসের কর্মী ছিলেন। কিন্তু সেই কথা আদালতে বলেননি উজ্জ্বল।' কংগ্রেস নেতার প্রশ্ন, যে ব্যক্তি আদালতে মিথ্যা কথা বলে তাকে কেন টিকিট দিল বিজেপি?
[আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদে জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার মহিলার দেহ! যোগীরাজ্যে চাঞ্চল্য]
এইসঙ্গে মোদির বক্তব্যের জবাবে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের একটি মন্তব্য নিয়ে মঙ্গলবার প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর একটি সভায় বলেছিলেন, ‘আমার অভিশাপেই মরতে হয়েছে করকরেকে। আমি ওই পুলিশ অফিসারকে শাপ দেওয়ার এক মাসের মধ্যে তার শ্রাদ্ধে বসতে হয়েছিল পরিবারকে!’ কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে, ওই মন্তব্যের পরেও কেন প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পদ্মশিবির।
[আরও পড়ুন: টাইটানের শেয়ারে বিরাট ধসের জের, একদিনে ৮০০ কোটি খোয়ালেন রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার স্ত্রী]
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত হন প্রজ্ঞা। সেই সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিলেন কারকরে। সন্ত্রাসের ওই মামলায় জামিনে মুক্তি হওয়ার পরে ভোপালে বিজেপি তাঁকে প্রার্থী করেছিল। পরে কারকারের মৃত্যুর পর প্রজ্ঞা দাবি করেন, তাঁর অভিশাপেই মৃত্যু হয়েছে পুলিশ আধিকারিকের। অন্যদিকে ২০১৪ সালে মোদি ক্ষমতায় আসার পরে মালেগাঁও বিস্ফোরণের এক নম্বর অভিযুক্ত প্রজ্ঞাকে ২০১৫ সালে ক্লিন চিট দেয় এনআইএ। সাধ্বীর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানায় তদন্তকারী সংস্থা।