সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা। দৈনন্দিন আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে দু’লক্ষের গণ্ডি। হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। ভাইরাসকে কীভাবে রোখা যাবে তা নিয়ে চিন্তায় প্রশাসন। আর এই পরিস্থিতিতেই শনিবার রাত ৮টায় দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করতে ভারচুয়াল বৈঠক বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও।
সংবাদসংস্থা এএনআই-এর টুইটে প্রধানমন্ত্রীর অফিসকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছে, বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে মোদির। করোনার টিকাকরণ থেকে শুরু করে ওষুধের জোগান, অক্সিজেন, হাসপাতালের বেড সংখ্যা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে এদিন আলোচনা সারেন প্রধানমন্ত্রী। কোভিড রোগীদের জন্য হাসপাতালের বেড যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকে, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশও দেন প্রধানমন্ত্রী। এখানেই শেষ নয়, অতিরিক্ত বেডের জন্য আইসোলেশন সেন্টার, অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করার কথাও জানান। এছাড়া দেশে ওষুধের ঘাটতি পূরণে ফার্মা কোম্পানিগুলির তাঁদের ওষুধ উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শও দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
[আরও পড়ুন: ‘টিকা নেওয়ার ন্যূনতম বয়স কমিয়ে ২৫ করা হোক’, প্রধানমন্ত্রীকে আরজি সোনিয়ার]
এদিকে, করোনা আবহেই হরিদ্বারে চলছিল কুম্ভমেলা। এদিন সকালে সেই প্রসঙ্গেও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বেশ কয়েকজন সন্ন্যাসীর শরীরে কোভিডের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। ফলে কুম্ভমেলা ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিরঞ্জনি আখড়া ও তপোনিধি শ্রী আনন্দ আখড়া। এহেন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে সংক্রমণের গতি শ্লথ করতে ‘প্রতীকী কুম্ভমেলা’ পালনের আরজি জানান তিনি। আর তাঁর এই আরজির পরই হরিদ্বারে কুম্ভমেলা বন্ধ করে দিল জুনা আখাড়া। স্বামী অভদেশানন্দ গিরি হিন্দিতে একটি টুইট করে জানান, ‘আমাদের প্রথম প্রাধান্য কোভিডের বিরুদ্ধে মানুষকে রক্ষা করা। কোভিডের বাড়বাড়ন্ত মাথায় রেকে আমরা সকল মূর্তি আগেই বিসর্জন দিয়েছি। জুন আখাড়ার তরফে কুম্ভমেলার সমাপ্তি ঘোষণা করা হল।’