সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুলন্দশহরের পুলিশ মৃত্যুর ঘটনার পর ৭২ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত যোগেশ রাজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকা সত্ত্বেও বজরং দলের সদস্য যোগেশ রাজকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? পুলিশের কাছে সেই প্রশ্নের কোনও জবাব নেই। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বলছেন, এই মুহূর্তে গরু কে মারল, সেটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত, পুলিশ আধিকারিক সুবোধ কুমার সিংয়ের খুনিদের গ্রেপ্তার করার আগে গোহত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতেই বেশি সচেষ্ট পুলিশ।
[‘আমি নির্দোষ’, ভিডিও বার্তায় দাবি বুলন্দশহর কাণ্ডে মূল অভিযুক্তর]
ইন্সপেক্টর জেনারেল রাম কুমার বৃহস্পতিবার বলেন, “তদন্তের উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ পুলিশের কাছে নেই। ফরেনসিক পরীক্ষা হোক আগে। তাতে কী পাওয়া যায়, দেখি। হাতে তথ্যপ্রমাণ না পেলে তো আর তদন্ত শুরু করতে পারে না পুলিশ। সুবোধ কুমার সিংকে কারা গুলি করল, সুমিতই বা কাদের হাতে খুন হল, এগুলো এখনও স্পষ্ট নয়। এই মুহূর্তে এই ঘটনার চেয়েও আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, গরু কারা মেরেছিল।” নিজের সহকর্মীর মৃত্যুকে ততটা গুরুত্ব দিতে চাইছেন না উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল। তিনি বলেন, “মূল অভিযুক্ত যোগেশ রাজের বিরুদ্ধে এখনও ফরেনসিক রিপোর্টের কোনও তথ্যপ্রমাণ আসেনি আমাদের হাতে। শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের ভিত্তিতে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায় না। তাছাড়া গরুটা মারল কারা? কারা ছিল ওই ঘটনার পিছনে? সেটা আমাদের কাছে বেশি বড় প্রশ্ন।” রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকের এই মন্তব্যে রীতিমতো বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধীরা তাঁকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলতেও ছাড়ছেন না।
[চপার কেলেঙ্কারির মিডলম্যান মিশেলের ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত]
এদিকে, ঘটনার পর দু’দিন নীরব থাকলেও এবার কিছুটা নড়েচড়ে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মৃত সুবোধ কুমার সিংয়ের পরিবার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুলন্দশহরে সুবোধ কুমার সিংয়ের নামে রাস্তার নামকরণ করা হবে। এদিকে মৃতদের পরিবারকে মোটা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। উল্লেখ্য, গত সোমবার উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে গোহত্যার গুজবে উত্তেজনা ছড়ায়। উত্তেজিত জনতার হামলায় নিহত হন পুলিশ আধিকারিক সুবোধ কুমার সিং। এরপর থেকেই এই ঘটনায় তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর।