অর্ণব আইচ: রাজ্যের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের (Indranil Sen) বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনায় জারি ধরপাকড়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও তিনটি বাইক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তারা কেন এই কাণ্ড ঘটাল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
ঠিক কী হয়েছিল? বুধবার রাত আটটা নাগাদ রাজ্যের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বাড়িতে ছিলেন না। সেই সময় তিনি ছিলেন চন্দননগরে। অভিযোগ, তারই মাঝে বাইকে চেপে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী আসে। কসবায় মন্ত্রীর বাড়ির কাছে দিল্লি পাবলিক স্কুলের বিপরীতে একটি মুদিখানা দোকানের পাশ থেকে বোমা ছোঁড়ে ওই দুষ্কৃতীরা। বিকট শব্দে বোমা ফাটে। কসবার (Kasba) মতো এলাকায় বোমাবাজির ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে। হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। চন্দননগর থেকে ফেরার পর এই ঘটনার কথা জানতে পারেন ইন্দ্রনীল সেন। “কাপুরুষের মতো কাজ” বলেই কটাক্ষ করেন তিনি। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের জেরা শুরু করে। খতিয়ে দেখা হয় এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ।
[আরও পড়ুন: স্বামীর বিজেপিতে যোগের পরই তৃণমূল কর্মী স্ত্রীর রহস্যমৃত্যু, উদ্ধার প্রায় বিবস্ত্র দেহ]
সেই সূত্র ধরেই পুলিশ মোট ছ’জনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতেরা হল গৌতম মণ্ডল, অশোক বৈদ্য, সোনু সাউ, রাহুল রায়, ভোলা পাশোয়ান। ধৃতদের কাছ থেকে কিছু পরিমাণ বোমা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তিনটি মোটর বাইকও। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঠিক কী কারণে রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের বাড়ির সামনে হামলা চালাল এই যুবকেরা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কিনা, তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ওই ছ’জনকে জেরা করেই ঘটনার কিনারা করা সম্ভব হবে বলেই আশাবাদী তদন্তকারীরা। সামনে আসতে পারে ঘটনার মূলচক্রীর নামও।