দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: থমথমে জয়নগর। রয়েছে পুলিশি নজরদারি। রাস্তা অবরোধ উঠে গিয়েছে। আজ 'নির্যাতিতা' শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার কথা। রবিবার চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠা জয়নগরের চিত্রটা এই রকমই।
এদিন এলাকায় যাবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন তাঁদের থানা ঘেরাও কর্মসূচি রয়েছে। সেখানে থাকবেন সুকান্ত ও অন্যান্য নেতৃত্ব। শনিবার পরিবার দাবি করেন, থানায় গেলে তাঁদের থেকে নিখোঁজ অভিযোগ নিতে কার্যত অস্বীকার করে পুলিশ। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগকে হাতিয়ার করে বিজেপির এই কর্মসূচি। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি। তাঁর দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিত নিয়ম অনুযায়ী সব কাজ করা হয়েছে। অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারাও যাবেন বলে খবর।
শনিবার নাবালিকার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে জয়নগর। পুলিশকে ঝাঁটা হাতে ধাওয়া করেন স্থানীয়রা। এলাকায় দফায় দফায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয়রা। উত্তেজিত জনতা থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। সেই ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। তদন্ত চলছে।
শুক্রবার দুপুরে টিউশন পড়তে বেরিয়েছিল। সন্ধে গড়িয়ে রাত হয়ে যাওয়ার পরও বাড়ি ফেরেনি সে। তাতেই দুশ্চিন্তা করতে শুরু করেন বাড়ির লোকজন।গভীর রাতে বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে একটি জলাজমি থেকে ছাত্রীর নিথর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় তার দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায় বলেই অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই ছাত্রীকে।