সৈকত মাইতি, তমলুক: নির্বাচনী আচরণ বিধি চালু হতেই ৪৮ জায়গায় ফ্লাইং স্কোয়াড টিম নামিয়ে জোরদার তল্লাশি অভিযান শুরু করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট ওই টিম জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা-সহ বিভিন্ন রাজ্য সড়ক এবং জাতীয় সড়কে যাতায়াত করা গাড়ি থামিয়ে চেকিং শুরু করে দিয়েছে। আর তারই মাঝে বৃহস্পতিবার বিকালে কোলাঘাটে জাতীয় সড়কের উপর নাকা চেকিংয়ে বাজেয়াপ্ত নগদ প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। বাজেয়াপ্ত একটি গাড়ি। তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে ঘড়ির কাঁটায় তখন চারটে হবে। কোলাঘাটে শরৎ সেতুর উপর দিয়ে কলকাতা থেকে ওড়িশা যাওয়ার পথে একটি সাদা আরটিকা গাড়িকে আটক করে কোলাঘাট থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে সন্দেহজনক ওই গাড়িটিকে আটক করার পর তল্লাশি অভিযান চলে। একটি ব্যাগ থেকে নগদ প্রায় ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ফ্লাইং স্কোয়াড টিমের সদস্যরা। আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। কোলাঘাট থানার ওসি সৌরভ চিনিয়া বলেন, “নির্বাচনী নির্ঘন্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর কোলাঘাটের শরৎ সেতু এলাকায় নাকা চেকিংয়ের এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানেই নাকা চেকিং চলাকালীন এই বিপুল অর্থ উদ্ধার হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: আইপিএলের ঠিক মুখেই নেতৃত্ব ছাড়লেন ধোনি, চোখের জলে থালাকে ‘ধন্যবাদ’ ভক্তকুলের]
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ১৬টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। ভোটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই প্রতিটি বিধানসভায় তিনটি করে ফ্লাইং স্কোয়াড টিম গড়া হয়েছে। তমলুক, পাঁশকুড়া, ময়না, কোলাঘাট-সহ সর্বত্র গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি শুরু হয়েছে জোরকদমে। সেই সঙ্গে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গোটা জেলায় ২১টি নাকা পয়েন্ট তৈরি করে তল্লাশি চলছিল। এক্ষেত্রে আন্তঃরাজ্য সীমানায় তিনটি এবং আন্তঃজেলা সীমানায় আরও ১৮টি জায়গায় তল্লাশি শুরু করছে পুলিশ। মূলত, বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র কিংবা চোলাই মদ প্রভৃতি সরবরাহ করা হচ্ছে কিনা তার উপর কঠোর নজরদারি চালানো হচ্ছে।
বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ৫০ হাজার টাকা কিংবা তার বেশি নগদ নিয়ে যাতায়াত করলে তা বাজেয়াপ্ত হতে পারে। এছাড়া ১০ হাজার টাকা কিংবা তার বেশি মূল্যের উপহার সামগ্রীও এই নজরদারি কমিটি বাজেয়াপ্ত করতে পারে। ফলে সেই সমস্ত বাজেয়াপ্ত সামগ্রী কিংবা অর্থ ফ্লাইং স্কোয়াড টিমের(এফএসটি) হাত থেকে ফেরত পেতে গেলেও বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জেলাস্তরে ক্যাশ রিলিজ কমিটির কাছে আবেদন করতে হবে। এবং কমিটির শুনানির পরই উপযুক্ত পদক্ষেপ কিংবা সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে বলে দাবি প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের।