সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পর্ন দেখার প্রবণতা নিয়ে এবার মুখ খুললেন পোপ ফ্রান্সিস (Pope Francis)। একটি আলোচনা সভায় তিনি বললেন, বিশ্বজুড়ে বহু মানুষই পর্নের প্রতি আসক্ত। তার বাইরে নন খ্রিষ্টিয়ান ধর্মযাজকরাও। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে নিজের জীবন সমর্পণ করে দেওয়ার ব্রত নিয়েও এই ধরনের ছবি দেখার অর্থ, নিজের মনে শয়তানকে প্রবেশ করতে দেওয়া। সেই জন্য আগামী দিনের ধর্ম যাজকদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, এই ধরনের ছবি দেখার অভ্যাস দূর করতে হবে।
বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়া ও ইন্টারনেটের প্রভাব নিয়ে একটি আলোচনাসভায় অংশ নিয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। সেখানেই তিনি বলেন, “পর্ন দেখা একটি বদভ্যাস। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ধর্মযাজক ও সন্ন্যাসিনীরাও এই ধরনের ছবি দেখায় আসক্ত। পর্ন ছবি থেকেই মনের মধ্যে শয়তান বাসা বাঁধে।” পোপ ফ্রান্সিস আরও বলেছেন, “শুধুমাত্র শিশুদের পর্নই নয়, যেকোনও ধরনের পর্ন ছবি দেখলেই আত্মা দুর্বল হয়ে পড়ে।”
[আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ! জালিয়াতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হংকংয়ের জিমি লাই]
ওই আলোচনাসভায় পোপ বলেছেন, “আমাদের সকলের হৃদয়ে যীশু খ্রিষ্ট বসবাস করেন। সেখানে পর্নের মতো অপবিত্র বস্তুকে হৃদয়ে স্থান দেওয়া যায় না। ধর্মযাজক-সহ সমস্ত ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের প্রতি পোপের বার্তা, “ফোন থেকে পর্ন জাতীয় ছবি মুছে ফেলুন। বরং ফোন ও সোশ্যাল মিডিয়াকে অন্য কাজে ব্যবহার করুন। খ্রিষ্টিয়ান হওয়ার আনন্দ সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিন ইন্টারনেটের মাধ্যমে।” যদিও টুইটারে পোপের ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় ৬ কোটির উপরে, তবুও তিনি একেবারেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকেন।
প্রসঙ্গত, ভ্যাটিকানের অন্দরে বহুবারই যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে ধর্মযাজকদের বিরুদ্ধে। তবে প্রকাশ্যেই এহেন ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। পর্ন ছবির বিরোধিতাও এই প্রথম নয়। কিছুদিন আগেই তিনি বলেছিলেন, পর্ন ছবি বানানো মানে নারী-পুরুষের সম্পর্কের সম্মান নষ্ট করা। এহেন ছবির ফলেই মানুষের মনে শয়তান প্রবেশ করে। তবে প্রকাশ্যেই যাজক ও নানদের পর্ন দেখা নিয়ে যেভাবে সরব হয়েছেন পোপ, তা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধছে নানা মহলে। অন্যদিকে, পোপের এহেন আচরণের প্রশংসাও করছেন অনেকেই।