সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিপুরায় জয়ের পরই বিরোধীদের উপর হামলার অভিযোগে বিদ্ধ বিজেপি। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
শুক্রবার নিজেদের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে তৃণমূল লেখে, ‘বিধানসভা ভোটে জয়লাভের পর মুহূর্তেই স্বমহিমায় @BJP4Tripura। কমলপুরে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে, নিজেদের হিংসার রাজনীতির পুনঃ প্রকাশ করলো শাসকদল! এবার কোথায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন? এবার কেন তৎপর নয় সিবিআই? একরাশ ধিক্কার!’
এই বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “নির্বাচনের ফলাফলের পর মুহূর্তেই নিজেদের মুখোশ উন্মোচন করেছে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার। বিরোধীদলের উপর মুহুর্মুহু চলছে নৃশংস অত্যাচার, জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়ি। মানবাধিকার কমিশন থেকে সিবিআই এখন ঠুঁটো হয়ে বসে আছে। নিশ্চুপ রাজ্য প্রশাসনও। কিন্তু বাংলার সিপিআইএম এবং কংগ্রেসে নেতারাও মুখে কুলুপ এঁটেছে। কেন? এবার কেন তারা আন্দোলন করছে না, কেন ডেপুটেশন জমা দিচ্ছে না মানবাধিকার কমিশন, সিবিআই তদন্তের জন্য? কারণ তারা অলক্ষ্যে জোট বেঁধেছে সাম্প্রদায়িক, বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি – বিজেপির সঙ্গে।”
[আরও পড়ুন: ‘বিটলস’-এর ‘বিট’ কোয়াড বৈঠকে! বিশ্ববিখ্যাত ব্যান্ডের সঙ্গে নিজেদের তুলনা জাপানের]
এদিকে, ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত মেঘালয়ও। এখনও পর্যন্ত সংঘাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে এবং বিশাল পুলিষ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
শুক্রবার স্থানীয় প্রশাসন জানায়, বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই রাজ্যের তিনটি বিধানসভা আসনে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। এখনও পর্যন্ত সংঘাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার মেঘালয়ের মইরাং, শেল্লা ও মোকাইওয়া বিধানসভা আসনে হিংসা ছড়ায়। এদিন নির্বাচনের ফলাফলে অসন্তুষ্ট কংগ্রেস কর্মীরা মইরাংয়ের জেলাশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে কংগ্রেস কর্মীরা। তারপরই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।