সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের পরেরদিনই চাকরি যাওয়ায় প্রবল ট্রোলের শিকার হয়েছিলেন উত্তরবঙ্গের এক যুবক। যুবকের স্ত্রীকে আক্রমণ করতেও ছাড়েনি নেটিজেনরা। এবার পালটা দিলেন চাকরিহারা যুবক। সাফ জানালেন, একটা চাকরির উপর নির্ভর করে না তাঁদের দাম্পত্য।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরুর পর দফায় দফায় চাকরি খুইয়েছেন বহু স্কুল শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। ফলে বেআইনি পথে যাঁরা চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের সকলেরই কম-বেশি দুশ্চিন্তা তো ছিল। সেই তালিকায় ছিলেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বাসিন্দা প্রণব রায়। সূত্রের খবর, ২০১৭ সাল থেকে জলপাইগুড়ির রাজডাঙা কেন্দা মহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার ছিল তাঁর বিয়ে। ধুমধাম করে সারেন বিয়ে।
[আরও পড়ুন: ‘পিসি-ভাইপোকে গ্যারেজ করে দেব’, নন্দীগ্রাম দিবসে হুঙ্কার শুভেন্দুর, পালটা জবাব চন্দ্রিমার]
বিয়ে সেরে শুক্রবার বউকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন প্রণব।ওইদিনই নিয়োগে গরমিল থাকায় ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রকাশ্যে আসে যাঁরা চাকরি খুইয়েছেন তাঁদের তালিকা। দেখা যায়, সেখানে নাম রয়েছে প্রণব রায়েরও। বিষয়টা জানাজানি হতেই প্রণব রায়ের বিয়ের ছবি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ লিখেছেন, “বৃহস্পতিবার বিয়ে, শুক্রবার গেল চাকরি, শনিবার বউভাত।” কেউ আবার লিখেছেন, “ফুলশয্যা নয় কন্টকশয্যা হবে।” কেউ লিখেছেন, “আদৌ ফুলশয্যা হবে তো?”, কেউ আবার দাম্পত্য কতদিন টিকবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। সবমিলিয়ে প্রবল ট্রোলের স্বীকার হন নবদম্পতি।
প্রথমে ট্রোলিং নিয়ে মুখ খুলতে চাননি প্রণব রায় বা তাঁর পরিবারের সদস্যরা। অবশেষে মুখ খুললেন প্রণব। তিনি জানিয়েছেন, ১০ বছরের সম্পর্কের পর প্রেমিকার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি। ফলত, তাঁদের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই। যে দিন চাকরি ছিল না সেদিনও দু’জনে একে অপরের পাশে ছিলেন, আজও আছেন। বউ ছেড়ে যাবে না। পাশে থাকবে। যুবকের কথায়, “সোশ্যাল মিডিয়ার কমেন্ট দেখে আমরা দু’জন হাসছি।”