shono
Advertisement

করোনার মোক্ষম ‘দাওয়াই’! মৃত্যু কমাতে রাতভর প্রাণায়াম করানো হচ্ছে রোগীদের

প্রাণায়ামের বর্মে সজ্জিত হচ্ছেন রোগীরা। The post করোনার মোক্ষম ‘দাওয়াই’! মৃত্যু কমাতে রাতভর প্রাণায়াম করানো হচ্ছে রোগীদের appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 12:05 PM Jul 01, 2020Updated: 12:05 PM Jul 01, 2020

গৌতম ব্রহ্ম: ভোররাতেই শিয়রে শমন! করাল ছোবল মেরে কেড়ে নিচ্ছে জীবন। কোভিড নামে সেই মৃত্যুদূতকে ঠেকাতে এবার প্রাণায়ামের বর্মে সজ্জিত হচ্ছেন রোগীরা। রাতভর দফায় দফায় প্রাণায়াম করিয়ে তাঁদের নামানো হচ্ছে প্রতিরোধের ময়দানে।

Advertisement

ঘুমের সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের গভীরতা কমে যাওয়ায় রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস পায়। কিন্তু তখন ‘বেসাল মেটাবলিক রেট (বিএমআর) কম থাকায় শরীর কম অক্সিজেনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়। সুস্থ শরীরে এটাই দস্তুর। কিন্তু অসুস্থ হলে অনেক সময় বিএমআর বজায় রাখার মতো অক্সিজেনও শরীর গ্রহণ করতে পারে না। তখনই বিপত্তি।

চিকিৎসকরা বলছেন, ‘পার্শিয়াল প্রেশার অফ অক্সিজেন’ ঘুমের সময় পঞ্চান্নর উপর থাকলে সমস্যা হয় না। তার নিচে নামলেই গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে আসে মৃত্যুদূত। এই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই কোভিড রোগীদের রাত বারোটা থেকে ‘স্পাইরোমিটার’ যন্ত্রের সাহায্যে প্রাণায়ম করানো হচ্ছে। ডাক্তারবাবুরা জানিয়েছেন, অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার ব্যাপারটা তো রয়েছেই, ঘুমের সময় অক্সিজেন মাস্ক সরে গিয়েও সমস্যা হতে পারে। তাই টানা ঘুমের বদলে কোভিড রোগীদের ছোট ছোট স্পেলে ঘুমাতে দেওয়া হচ্ছে। দু’টি স্পেলের মাঝখানে করানো হচ্ছে ডিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ।’ স্পাইরোমিটার যন্ত্র ব্যবহার করেই চলছে কপালভাতি, অনুলোম-বিলোম বা ভস্ত্রিকার মতো শ্বাসের ব্যায়াম। তাতেই কমছে মৃত্যুর হার। সিসিইউ বিশেষজ্ঞদের মতে, রাত তিনটে থেকে পাঁচটার মধ্যে হাসপাতালে নজরদারি সবচেয়ে ঢিলে থাকে। নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রত্যেকেই ক্লান্ত থাকেন।

[আরও পড়ুন: করোনার ওষুধ নয় Coronil! প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হতেই ‘ডিগবাজি’ পতঞ্জলির]

রাতভর প্রাণায়ামের দাওয়াই রোগীদের আসল খলনায়ক ‘হ্যাপি হাইপক্সিয়া’। ন্যাশনাল অ্যালার্জি অ্যাজমা ব্রঙ্কাইটিস ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর ডা. অলোকগোপাল ঘোষালও একই কথা জানিয়েছেন। তাঁর পর্যবেক্ষণ, রোগী হাসিখুশি (হ্যাপি) আছেন। কিন্তু রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা নেমে যাচ্ছে হু-হু করে। এটাই হ্যাপি হাইপক্সিয়া।” রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫ শতাংশের উপরে থাকাটাই স্বাভাবিক। করোনা রোগীর ক্ষেত্রে তা এমনিতেই কমে যায়। কখনও তা পঞ্চান্নর নিচে নেমে যাচ্ছে। কিন্তু তা টেরই পাচ্ছেন না রোগী। অক্সিজেনের অভাবে কর্মক্ষমতা হারাচ্ছে কোষ। ঘুমের ঘোরেই থাবা বসাচ্ছে মৃত্যু। বাঙুরের সিসিইউ-তে তাই নয়া কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। রাতভর রোগীকে রুটিন মেনে জাগিয়ে রাখা হচ্ছে। বারোটায় প্রথম প্রাণায়াম করানো হচ্ছে। তারপর প্রতি তিন-চার ঘণ্টা অন্তর রোগীকে জাগিয়ে স্পাইরোমিটারে ফুঁ দিয়ে প্রাণায়াম করানো হচ্ছে। মাপা হচ্ছে রক্তে অক্সিজেন স্যাচুরেশন। রাতে হালকা খাবার দেওয়া হচ্ছে।

বাঙুরের সিসিইউ বিশেষজ্ঞদের মতে, রাত তিনটে থেকে পাঁচটার মধ্যে হাসপাতালে নজরদারি সবচেয়ে ঢিলে থাকে। নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রত্যেকেই ক্লান্ত থাকেন। প্রাণায়াম কর্মসূচির ফলে সবাই জেগে থাকছেন। ফলে, বিপদ কড়া নেড়েও ফিরে যাচ্ছে সিসিইউ-এর দরজা থেকে।

[আরও পড়ুন: ট্রায়ালের ছাড়পত্র পেল ‘কোভ্যাক্সিন’, জুলাই মাসেই মানবদেহে প্রয়োগ ভারতে তৈরি করোনা ‘টিকা’র]

The post করোনার মোক্ষম ‘দাওয়াই’! মৃত্যু কমাতে রাতভর প্রাণায়াম করানো হচ্ছে রোগীদের appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement