নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: সংসদের উভয়কক্ষের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু(Droupadi Murmu)। মোদির শাসনে বিগত ১০ বছরে বদলে গিয়েছে ভারত। নারী থেকে যুবকল্যাণ, পরিকাঠামো থেকে অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, কৃষক স্বার্থ থেকে শিক্ষা, সবক্ষেত্রে বিজেপি সরকারের জয়গান গাইলেন দ্রৌপদী। তবে শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা এড়াতে পারলেন না । এই বিষয়ে ঠিক কী বললেন রাষ্ট্রপতি?
নিটে প্রশ্ন ফাঁস-সহ একাধিক অনিয়ম, আবার নেটেও অনিয়মকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে। তদন্ত যত এগোচ্ছে, সামনে আসছে নানা অসঙ্গতি। ইতিমধ্যে নিটের প্রশ্নফাঁসে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিবিআই-কে। বিহার, গুজরাত ও রাজস্থান পুলিশের দায়ের করা মামলার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। বাড়ছে গ্রেপ্তারির সংখ্যাও। জাল বহু দূর বিস্তৃত বলছেন তদন্তকারীরা। স্বভাবতই প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে চাপ বাড়চ্ছে বিরোধীরা। সংসদের প্রথম দিনেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির অস্বস্তি বাড়িয়ে 'নিট' 'নিট' রব তুলেছিল বিরোধীরা। এই অবস্থায় রাষ্ট্রপতির ভাষণেও উঠে এল প্রশ্নফাঁস কাণ্ড।
[আরও পড়ুন: গীতা পড়বেন, লাগবে বাড়ির খাবার, বেল্টও চাই, CBI হেফাজতে দাবি কেজরির]
বৃহস্পতিবার দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, সর্বভারতীয় নিট পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস দুর্নীতি সামনে এসেছে। এই বিষয়ে আমাদের দলমত নির্বিশেষে ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযুক্তদের কঠিনতম শাস্তি দিতে হবে। এটুকু ছাড়া মোদিময় ছিল দ্রৌপদীর ভাষণ। একদিকে যেমন তিনি দাবি করেন, গত ১০ বছরে দেশের অর্থনীতি এগারোতম থেকে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। তেমনই তিনি নির্দ্বিধায় জানান, মণিপুর-সহ গোটা উত্তর-পূর্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে মোদি সরকারের নীতি। যদিও রাষ্ট্রপতির ভাষণের মাঝেই মণিপুরের (Manipur) জাতিহিংসার কথা মনে করিয়ে প্রতিবাদে সরব হয় বিরোধী শিবির। যদিও তাতে পরোয়া করেননি দ্রৌপদী। রাষ্ট্রপতি দুই কক্ষের সাংসদদের সামনে বলে গেলেন, ভারতের জনগণ ‘স্থির’, স্থায়ী এবং মজবুত সরকার গড়েছে। যা দেশের উন্নয়নে সহযোগী।