সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুতেই কাটছে না টেট জট। প্রায় ২১ ঘণ্টা কেটে গেলেও থামছে না চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ। রাতভর সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে টানা অবস্থান করেছেন টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। মঙ্গলবার সকালেও রাস্তাতেই প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন তাঁরা।
গতকাল সোমবার বেলা ১২টা থেকে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট (TET) উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড চাকরি প্রার্থীরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। পুলিশের বারবার বলা সত্ত্বেও অবস্থান তুলতে রাজি হননি বিক্ষোভকারীরা। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের জোর করে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করতেও দেখা যায় পুলিশকর্মীদের। ধস্তাধস্তির মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। এদিন সকালেও কিন্তু করুণাময়ীতে পরিস্থিতি একই আছে। চাকরির দাবিতে নিজেদের অবস্থান থেকে একচুলও নড়তে নারাজ তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের একাংশের কথায়, টেট জটে তাঁদের বয়স ৪০ ছুঁয়েছে। ফলে নতুন করে চাকরির সুযোগ তাঁদের কাছে নেই বললেই চলে। এবং একবার টেট পাশ করে কেনই বা তাঁরা বঞ্চিত থাকবেন।
[আরও পড়ুন: অনলাইন জালিয়াতিতেই টাকার কুমির শৈলেশ! হাওড়া কাণ্ডে ৭৭ কোটির লেনদেন দু’টি অ্যাকাউন্টে]
গতকাল বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়িতে টেনে-হিঁচড়ে তোলা হয় আন্দোলনকারীদের। পুলিশের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় তাঁদের। সপ্তাহের প্রথম দিনে করুণাময়ী মোড়ের মতো ব্যস্ত রাস্তায় এই বিক্ষোভের জেরে তীব্র যানজট তৈরি হয়। যানজট সরাতে রীতিমতো হিমশিম দশা হয় পুলিশের। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে দৃশ্য কিছুটা ভিন্ন। সূত্রের খবর, পুলিশকর্মীদের সংযত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপর মহল থেকে। তবে, আজও কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কিন্তু জায়গা ছেড়ে যেতে রাজি হননি তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা দীর্ঘদিন ধরেই নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী নভেম্বর মাসে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁদের নিয়োগের ঘোষণা করেন। বলা হয়, প্রথমে ১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগ করা হবে। পরে আরও কিছু পদে নিয়োগের কথা জানিয়েছিলেন। সেই প্রক্রিয়া শুরু হলেও সম্পন্ন হয়নি। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, সেই নিয়োগ সম্পূর্ণ না করেই ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের যুগ্মভাবে ১১ হাজার পদে নিয়োগের কথা ঘোষণা করেন। ফলে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের চাকরির সুযোগ কমে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। তাই অবিলম্বে তাঁদের নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরা অংশ নেবেন না বলেও জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।