সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কর্ণাটকে (Karnataka) এক তরুণ বিজেপি (BJP) নেতাকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রবীণ নেত্তারু নামের ওই নেতার মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বম্মাই শোকপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হবে। ইতিমধ্য়েই দোষীদের গ্রেপ্তারির দাবিতে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।
জানা গিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কয়েকজন দুষ্কৃতী বাইকে চড়ে হাজির হয় দক্ষিণ কন্নড় জেলার বেল্লারে গ্রামে। পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র হাতে তারা চড়াও হয় বিজেপির যুব মোর্চার নেতার উপরে। কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। এরপরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে সেখানে। ম্যাঙ্গালোর ও উদুপি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী নিয়ে আসা হয়েছে এলাকার আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে।
[আরও পড়ুন: ইডি’র তলবে সাড়া, নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে মানিক ভট্টাচার্য]
ইতিমধ্যেই পাঁচটি স্পেশাল পুলিশ টিম গঠন করা হয়েছে অভিযুক্তদের ধরতে। তাদের মধ্যে তিনটি দলকে কেরল এবং কর্ণাটকের মাদিকেরি ও হাসানে পাঠানো হয়েছে। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় একথা জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট।
এদিকে ম্যাঙ্গালোরের পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট এপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ”পুলিশ সূত্র খোঁজার চেষ্টা করছে। সংবাদমাধ্যমে আমরা দেখতে পেয়েছি দুষ্কৃতীদের বাইকে কেরলের নম্বর। কিন্তু এখনও আমরা কোনও প্রমাণ পাইনি। এখনও কিছু বলা তাড়াহুড়ো হয়ে যাবে। আমরা রাজ্যের সীমান্তগুলিতে কড়া পাহারা বসিয়েছি। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, এক মুসলিম যুবকের মৃত্যুর বদলা নিতেই এই হত্যাকাণ্ড।”
এদিকে বুধবার বেশ কিছু এলাকায় বনধ ডেকেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার মতো দক্ষিণপন্থী দলগুলিকে এই খুনের জন্য দায়ী করেছে তারা। এদিকে নিহত বিজেপি কর্মীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁর বাড়িতে। তাঁর শবযাত্রায় বিজেপি কর্মী ও বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যদের অংশ নিতে দেখা গিয়েছে।