সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেতন বৃদ্ধি এবং ছুটি, অধিকাংশ বেসরকারি সংস্থার মালিকপক্ষের অতি অপছন্দের দুটি জিনিস। এই বিষয়ে কর্মীটি মুখ বুজে থাকলে ভালো, নইলে চাপ! যেমন এই ঘটনা--- রাখি পূর্ণিমার দিন ছুটি নিলে কর্মীদের সাত দিনের বেতন কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল একটি বেসরকারি সংস্থা। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি তোলায় বরখাস্ত হতে হল সংস্থার এক মানবসম্পদ (HR) কর্মীকে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেসরকারি সংস্থাটি। কী বলছে তারা?
সমাজমাধ্যম লিঙ্কডিনে সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে একটি পোস্ট। সেখান থেকে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি পঞ্জাবের লুধিয়ানায়। ওই মহিলা কর্মী তাঁর প্রাক্তন ‘বস’-এর সঙ্গে একটি হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনের স্ক্রিনশট পোস্ট করেছেন। সেখানে জানানো হয়েছে, ১৯ অগস্ট রাখির দিন অর্ধদিবস ছুটির ঘোষণা করা হয়েছে। ওই দিন অফিসে হাজির থাকা বাধ্যতামূলক। কেউ ওই দিন অফিসে না এলে, তাঁর সাত দিনের বেতন কাটা যাবে। এই বিষয়ে আপত্তি থাকলে ইস্তফাপত্র দিতে পারেন কর্মী।
[আরও পড়ুন: ফের প্যারোলে মুক্ত! বন্দিদশা এড়িয়ে ২১ দিনের জন্য ‘ছুটি’তে ধর্ষক রাম রহিম]
মহিলার দাবি, এই নোটিসের বিরুদ্ধেই আপত্তি করেছিলেন তিনি। তিনি লেখেন, "যা আইনত সমর্থনযোগ্য নয়, তার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলাম। পুরস্কার হিসাবে হাতে পেলাম বরখাস্তের চিঠি। আমাকে হিসাব মতো দু’সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সংস্থার তরফে আমার কাজ করার সমস্ত উপায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাতে আমি কোনও ভাবেই কর্মক্ষেত্রে আর না থাকতে পারি।" যদিও সংস্থার দাবি, ওই মহিলা তাঁর কাজের সময়ে মেয়ের স্কুলের হোমওয়ার্ক করতেন। কখনও কখনও সেই ছুতোয় প্রায় দু’ঘণ্টা কাজ বন্ধ রাখতেন তিনি। সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যদিও নেটপাড়া মহিলার পাশে দাঁড়িয়েছে। তাঁকে লেবার কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে।