সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি সপ্তাহের শুক্রবার থেকে রাশিয়ায় শুরু হয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে রবিবার পর্যন্ত। নির্বাচন শুরুর প্রথমদিনেই অনলাইনে ভোট দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এবছর প্রথম অনলাইনে ভোটদান করার সুযোগ পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। গত মাসেই বিরোধী রুশ নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যুর পর থেকেই সরগরম রাশিয়ার রাজনীতি। একইসঙ্গে চলছে ইউক্রেন যুদ্ধ। এই আবহেই গণতন্ত্রের উৎসবে যোগ দিয়েছেন সেদেশের নাগরিকরা।
রুশ সংবাদ সংস্থা তাস সূত্রে খবর, বিগত কয়েক বছর ধরে অনলাইনেই ভোট দিচ্ছেন পুতিন। কিন্তু এই বছর প্রথমবার অনলাইনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেলেন রুশ নাগরিকরা। একটি ভিডিও ফুটেজ দিয়ে ক্রেমলিন তরফে পুতিনের ভোট দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে। ফুটেজে দেখা গিয়েছে, নিজের অফিসে কম্পিউটারের সামনে গিয়ে ভোট দেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তার পর ক্যামেরার সামনে গিয়ে হেসে তাকান তিনি। ততক্ষণে মনিটরে নোটিফিকেশন এসেছে, ‘আপনার ভোটদান সফল হয়েছে।’
[আরও পড়ুন: কানাডায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত দম্পতি ও কিশোরী কন্যার আগুনে পুড়ে মৃত্যু! ঘনাচ্ছে রহস্য]
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সাড়ে ৩ লক্ষের উপর মানুষ অনলাইনে ভোট দিয়েছে। একটি ই-ভোটিং ওয়েবসাইট শুরু করা হয়েছে তাঁদের জন্য। ২৪ ঘণ্টাই সেটি চালু রয়েছে। এবং ওয়েবসাইটটি নজরে রেখেছেন নির্বাচন আধিকারিকরা। রাশিয়ার সিভিক চেম্বারের পক্ষ থেকে ১৮৫ জন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও ৫৮টি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই ভোটপ্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করার জন্য।
বলে রাখা ভালো, নির্বাচন শুরু হওয়ার দিন দুয়েক আগেই সাধারণ মানুষের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে পুতিন বলেছিলেন, “সকলের একত্রিকরণ আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সকলে মিলে একযোগে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। প্রত্যেকটা ভোট আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে আমি চাই আপনারা এই ভোটপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুন। নিজেদের ভোটাধিকারের অধিকারকে অনুভব করুন।”
উল্লেখ্য, ২০০০ সালের মার্চে ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে দেশের মসনদে বসেন পুতিন। শুরু হয় এক নতুন জমানার। তার পর থেকেই তিলে তিলে ‘ব্র্যান্ড পুতিন’ গড়ে তোলেন রুশ রাষ্ট্রনেতা। এই বছরের নির্বাচনে পুতিনের জেতা একপ্রকার প্রায় নিশ্চিত। ভোটে জিতলে আগামী ছয় বছরের জন্য ক্ষমতার রাশ থাকবে তাঁর হাতেই। এনিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ, ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে আজীবনই রাশিয়ার মসনদে থাকতে চান পুতিন। কাজেই এই নির্বাচন নিয়মরক্ষারই হবে বলে দাবি তাঁদের।