সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধী রুশ নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যুর পর থেকে সরগরম রাশিয়ার রাজনীতি। নাভালনির মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই দিকে দিকে উঠেছিল পুতিন বিরোধী স্লোগান। সেদেশের একাধিক শহরে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। যা কড়া হাতে দমন করেছিল মস্কো। এনিয়ে পুতিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন রুশ নাগরিকরা। এই আবহেই রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তাঁর আগে জনগণের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিলেন পুতিন।
আগামী ১৫ থেকে ১৭ মার্চের মধ্যে রাশিয়ায় (Russia) প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বিশ্লেষকদের মতে, এই ভোটপ্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে নাভালনির মৃত্যুর ঘটনা। এনিয়ে কি চিন্তিত পুতিন? রুশ সংবাদ সংস্থা তাস সূত্রে খবর, ভিডিও বার্তায় রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “সকলের একত্রিকরণ আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সকলে মিলে একযোগে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। প্রত্যেকটা ভোট আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে আমি চাই আপনারা এই ভোটপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুন। নিজেদের ভোটাধিকারের অধিকারকে অনুভব করুন।”
[আরও পড়ুন: সীমান্ত সংঘাতে কতটা প্রভাবিত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, কী বলছে চিন?]
উল্লেখ্য, ২০০০ সালের মার্চে ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে দেশের মসনদে বসেন পুতিন। শুরু হয় এক নতুন জমানার। তার পর থেকেই তিলে তিলে ‘ব্র্যান্ড পুতিন’ গড়ে তোলেন রুশ রাষ্ট্রনেতা। এই বছরের নির্বাচনে পুতিনের জেতা একপ্রকার প্রায় নিশ্চিত। ভোটে জিতলে আগামী ছয় বছরের জন্য ক্ষমতার রাশ থাকবে তাঁর হাতেই। এনিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ, ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে আজীবনই রাশিয়ার মসনদে থাকতে চান পুতিন। কাজেই এই নির্বাচন নিয়মরক্ষারই হবে বলে দাবি তাঁদের।
বলে রাখা ভালো, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রুশ জেল কর্তৃপক্ষ নাভালনির মৃত্যুর খবর জানায়। তার পর থেকেই সরগরম হয়ে ওঠে রাশিয়ার রাজনীতি। ‘পুতিন-বিরোধী’ নেতার মৃত্যুর কারণ নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় নাভালনির পরিবার। এই বিরোধী রুশ নেতার মৃত্যু নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরব হয় আমেরিকা, ফ্রান্স, কানাডা-সহ একাধিক দেশ। ফলে এই ঘটনা রাশিয়ার নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে সেদিকেই নজর ওয়াকিবহল মহলের।