নব্যেন্দু হাজরা: প্রধানমন্ত্রী না রেলমন্ত্রী কার হাতে উদ্বোধন হবে, সেই দোলাচলে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধন বিশ বাঁও জলে। রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের (সিআরএস) ছাড়পত্র পাওয়ার পর তিন মাস পেরিয়ে যাওয়ায় আপাতত এই স্টেশন চালুর কোনও সম্ভাবনা নেই। নিয়ম মেনে শিয়ালদহ মেট্রোকে (Sealdah Metro) ফের সিআরএসের ছাড়পত্র নিতে হবে। সেই ছাড়পত্র এলে তারপর ঠিক হবে উদ্বোধনের দিনক্ষণ।
সূত্রের খবর, দিন দুয়েকের মধ্যেই মেট্রো এই স্টেশনের ছাড়পত্রের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আবারও সিআরএসের কাছে আবেদন জানাবে। সেফটি কমিশনার মনে করলে, সেই মেয়াদ বাড়াতে পারেন, নয়তো ফের এখানে এসে আবারও স্টেশন এবং লাইন পরিদর্শন করতে পারেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তারপর মিলবে ছাড়পত্র।
[আরও পড়ুন: আমেরিকায় ট্রাকের ভিতর থেকে উদ্ধার অন্তত ৪৫টি মৃতদেহ, সকলেই শরণার্থী? তুঙ্গে জল্পনা]
ফুলবাগান থেকে শিয়ালদহ স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা সম্প্রসারণের জন্য সিআরএসের দেওয়া ছাড়পত্রের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২৩ জুন। তার মধ্যে এই স্টেশন উদ্বোধন হয়নি। মেট্রোর আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, রেল সেফটি কমিশনারের ছাড়পত্র মিলেছে তিন মাস আগেই। এই সময়কালে তাঁরা ট্রেন চালানোর জন্য সবদিক থেকে প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু রেলমন্ত্রক থেকে সবুজ সংকেত মেলেনি। প্রধানমন্ত্রী না রেলমন্ত্রী কে উদ্বোধন করবে তাই ঠিক হয়নি। ফলে কলকাতায় রেলমন্ত্রী এলেও তাঁকে দিয়ে উদ্বোধন করানো হয়নি এই স্টেশন। এবার পেরিয়ে গিয়েছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সময়সীমা। যে কারণে কবে ওই পরিষেবা চালু করা যাবে, তা নিয়ে দিশেহারা অবস্থা মেট্রো কর্তৃপক্ষের।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলবাগান থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ২.৩ কিলোমিটার অংশে পরিষেবা সম্প্রসারণের বিষয়ে অনুমতি চায় মেট্রো কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের কাছে পরিদর্শনের আরজিও জানানো হয় চিঠি দিয়ে। এরপর মার্চ মাসের ১৬ এবং ১৭ তারিখে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন রেলওয়ে সেফটি কমিশনার। পরবর্তীতে এক সপ্তাহের মধ্যেই কিছু শর্ত সাপেক্ষে পরিষেবা শুরু করার অনুমতিও দিয়ে দেন তিনি। তারপর নানা টালবাহানায় এই স্টেশন উদ্বোধন আটকে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: সারদার আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর উদ্যোগ, একাধিক নির্দেশ দিল হাই কোর্ট]
যে কারণে হতাশ যাত্রীরাও। এই স্টেশন চালু হলে খুব কম সময়ে শিয়ালদহ লাইনের যাত্রীরা লোকাল ট্রেনে চড়ে এসে মেট্রোয় সল্টলেকে পৌঁছে যেতে পারবেন। ফলে কাজ শেষ হওয়ায় মার্চ মাসেই শহরবাসী আশা করেছিলেন, হয়তো বা এপ্রিলেই এই স্টেশন চালু হবে। কিন্তু সেই স্টেশনেরই উদ্বোধন ঘিরে এখন তৈরি হয়েছে ঘোরতর অনিশ্চয়তা।