সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদ থেকে অবিলম্বে রঘুরাম রাজনকে সরিয়ে দেওয়া হোক! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এক চিঠি লিখে এমনটাই জানালেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্ম্যণম স্বামী৷ চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করছেন ওই আমলা৷” স্বামী আরও লিখেছেন, “রাজন মনেপ্রাণে ভারতীয় নন৷ জাতীয় স্বার্থেই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক৷”
(মাত্র ৫০০ টাকাতেই বিমানযাত্রার সুযোগ)
কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রধান রঘুরাম রাজন মন্তব্য করেন, বিদেশি ব্যাঙ্কগুলি ভারতে শাখা খোলা বন্ধ করে দিয়েছে৷ কারণ দেশের অতি ঝুঁকির ‘ক্রেডিট রেটিং’-এর নিয়ম মেনে বহু টাকা জমা রাখার কারণে বিদেশি লগ্নিকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন, অভিযোগ করেন রাজন৷ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজন বলেছিলেন, বিদেশি ব্যাঙ্কগুলি মনে করে এখানে শাখা খোলা উপযুক্ত নয়৷ ভারতের বহু শিল্প ক্ষেত্র মুখ থুবড়ে পড়েছে এবং দেশের বেকারত্বও বেড়েছে অনেকটাই, মন্তব্য করেছিলেন রাজন৷ তারই পাল্টা জবাবে রাজনকে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বামী৷ তিনি বলেন, “শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পড়ানোর কাজ করলে অনেক ভাল করবেন তিনি৷ দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর৷” মাত্র কিছুদিন আগেই বিজেপির টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন স্বামী৷
একা স্বামী নন অবশ্য, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর রঘুরাম রাজন দ্বিতীয়বারের জন্য পদে থাকবেন কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা জিইয়ে রেখেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও৷ এ বিষয়ে প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে আদতে উসকে দিলেন অসংখ্য জল্পনা৷ চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই তিন বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ হচ্ছে রঘুরাম রাজনের৷ সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নরের প্রকাশ্য মতানৈক্য রীতিমতো সংঘাতের পর্যায়ে পৌঁছেছে৷ সেই প্রেক্ষিতে তাঁকে দ্বিতীয়বারের জন্য পদে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে কেন্দ্র কী সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সব মহল৷ সোমবার নয়াদিল্লির ইন্ডিয়ান উইমেনস প্রেস করপস-এর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে জেটলি বলেন, “এই ধরনের ইস্যু আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে আলোচনা করি না৷”
(এবার জীবনবিমার সুবিধে অবসরের ৩ বছর পরও)
তবে রাজনের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র জলঘোলা শুরু হয়ে গিয়েছে৷ এ বিষয়ে বিরোধীরা এখনও আসরে না নামলেও রাজনৈতিকভাবে প্রকাশ্যেই অসন্তোষের কথা বলতে শুরু করেছে বিজেপি৷ কারণ সরকারের তরফে যখন বারবার তথ্য, পরিসংখ্যান দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের উন্নয়নের সাফল্য নিয়ে জোরালো দাবি করা হচ্ছে তখন পাল্টা মুখ খুলে সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন রাজন৷ বহু ক্ষেত্রেই তিনি দাবি করেছেন, সরকারের তরফে যে উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে তা বাস্তব চিত্র নয়৷ সম্ভবত সেই কারণেই রাজনের মেয়াদবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলেও দলে কোণঠাসা নন বিজেপি সাংসদ স্বামী৷
The post গভর্নর পদে উপযুক্ত নন রাজন, মোদিকে বিস্ফোরক চিঠি স্বামীর appeared first on Sangbad Pratidin.