সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে ভারতরত্ন সম্মান। শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করা হয়। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে সংবর্ধনা জানালেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। প্রণব মুখোপাধ্যায় ছাড়াও ভূপেন হাজারিকা ও নানাজি দেশমুখও পেলেন মরণোত্তর ভারতরত্ন। জীবিত ব্যক্তি হিসেবে এবার ভারতরত্ন সম্মান পেলেন প্রণব।
আজীবন কংগ্রেস সদস্য তিনি। ৮৩ বছরের প্রণব মুখোপাধ্যায়কে সর্বোচ্চ নাগরিকের সম্মান প্রদান করল মোদি সরকার। এর আগে তিন বাঙালি ভারতরত্ন সম্মান পেয়েছিলেন। পঞ্চম বাঙালি হিসেবে ভারতরত্ন পেলেন প্রণব। রাহুল জানান, আমাদেরই লোক সম্মানিত হল। তাই গর্বিত।
[ওয়াঘা সীমান্তে পাক সেনাকে মিষ্টি বিতরণ ভারতীয় জওয়ানদের]
১০ বছরের কংগ্রেস শাসনের পর ক্ষমতা আসে এনডিএ সরকার। প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। প্রবীণ কংগ্রেস সদস্য ও অভিজ্ঞ সাংসদ। প্রধানমন্ত্রী মোদি ও বিজেপির সঙ্গে ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায় তাঁর। গতকাল টুইট করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “আমাদের সময়ের সুবক্তা প্রণবদা। নিঃস্বার্থ ও ক্লান্তিহীনভাবে দেশের জন্য দিনের পর দিন কাজ করে গিয়েছে। দেশের উন্নতিতে ছাপ রেখে গিয়েছেন তিনি। তাঁর বুদ্ধিমত্ত্বা ও ইচ্ছাশক্তি খুব কম লোকের মধ্যে আছে। ভারতরত্ন সম্মান পাওয়ায় গর্বিত।” প্রেসিডেন্ট পদ শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অনুরোধে নাগপুরের একটি অনুষ্ঠানে দেখা যায় প্রণবকে। তবে কংগ্রেসের এই বর্ষীয়ান নেতাকে ভারতরত্ন সম্মান দেওয়ায় খুশির হাওয়া সব মহলে। রাহুল গান্ধী বলেন, “ভারতরত্ন সম্মান পাওয়ার জন্য শুভেচ্ছা প্রণবদা। কংগ্রেস দলও এই জন্য গর্বিত। দেশের হয়ে কাজ করেছেন। আমাদেরই মধ্যে কোনও নেতা এই সম্মান পাওয়ায় আমরাও সম্মানিত।”
[‘লড়াই করতে শিখিয়েছিলেন নাজির’, স্বামীর সম্মানে গর্বিত শহিদপত্নী]
বাঙালি হিসেবে প্রথম ভারতরত্ন পান বাংলার রূপকার বিধানচন্দ্র রায়। দ্বিতীয় বাঙালি হিসেবে ভারতরত্ন পান সত্যজিৎ রায়। ১৯৯৯ সালে শেষবার একসঙ্গে দুই বাঙালি ভারতরত্ন পেয়েছিলেন। অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ও পণ্ডিত রবিশংকর। পঞ্চম বাঙালি হিসেবে ভারতরত্ন পেলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। এই সম্মান পাওয়ার পর প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, “দেশের মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমি আগেও বলেছি, ফের বলছি। মানুষের জন্য আমি যা করেছি, তার থেকে অনেক বেশি পেয়েছি। এই সম্মান আমি সাদরে গ্রহণ করছি। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলে আমি সম্মতিও জানিয়েছি।”