সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাংসদ পদ খারিজের পরই সরকারি বাংলো ছেড়ে দেওয়ার নোটিস পান রাহুল গান্ধী। এবার তারই উত্তর দিয়ে কংগ্রেস নেতা জানিয়ে দিলেন, নির্দেশ মেনেই বাংলো খালি করে দেবেন তিনি। সঙ্গে এও উল্লেখ করেছেন, এই বাংলোর আনাচে-কানাচে তাঁর অনেক আনন্দের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।
২০০৪ থেকে লোকসভার সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সেই সূত্রেই ২০০৫ সাল থেকে ১২ তুঘলক রোডে তাঁর জন্য সরকারি বাংলো বরাদ্দ করা হয়েছিল। তবে মানহানির মামলায় সাজা পেয়ে সাংসদ পদ হারানোয় এবার সেই বাংলো থেকেই বেরিয়ে যেতে হবে সোনিয়াপুত্রকে। নোটিস গ্রহণের পর লোকসভার সচিবালয়ের উদ্দেশে জবাবি চিঠিতে তিনি লেখেন, “গত চারবারের সাংসদ হওয়ায় এই জায়গায় অনেকটা সময় কাটিয়েছি। যেখানে জীবনের নানা স্মৃতি রয়েছে। নিশ্চিতভাবেই নোটিসের নির্দেশ মেনেই কাজ করব।”
[আরও পড়ুন: ‘জয় শ্রী রাম’ না বলায় ইমামকে মারধরের অভিযোগ, অজ্ঞান করে দাড়িও কাটল বর্বরের দল!]
সোমবারই কংগ্রেস নেতাকে নোটিস দিয়ে সরকারি বাংলো ছাড়তে বলে লোকসভার হাউজিং প্যানেল। প্রথমে রাহুল গান্ধীর টিম নোটিস পাওয়ার কথা স্বীকার না করলেও এবার সেই নোটিসের উত্তরও দিলেন রাহুল। তবে হাউজিং প্যানেলের নোটিসের পরই নতুন করে রাহুলের নিরাপত্তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এবার সরকারের তরফে রাহুলকে দেওয়া z প্লাস নিরাপত্তাও তুলে নেওয়া হতে পারে।
সরকারি বাংলো ছাড়ার প্রসঙ্গে রাহুলকে আবার খোঁচা দিতে ছাড়েননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। বলে দেন, এই বাংলো রাহুলের নিজের নয়। এটা সাধারণ মানুষের। ‘মোদি’ পদবিধারীদের অপমান করার অভিযোগেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন রাহুল। যে প্রসঙ্গে স্মৃতির দাবি, রাহুলই প্রথম নন, সাধারণ মানুষ, দলিত, পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়কে আগেও অপমান করেছে গান্ধী পরিবার। এমনকী এই পরিবারের নির্দেশে এক কংগ্রেস কর্মী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকেও অপমান করেছেন বলে দাবি স্মৃতির।
[আরও পড়ুন: মেসির স্ট্যাচু রাখা হবে কনমেবলের মিউজিয়ামে, বিশ্বকাপ জয়ের উদযাপন চলছেই]
এদিকে, রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলে দেন, রাহুল গান্ধী তাঁর মা সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে থাকবেন। আর যদি সেক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয়, তাহলে তিনি নিজের বাংলোই খালি করে দেবেন রাহুলের জন্য। রাহুলের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে মোদি সরকার বলেও সুর চড়ান খাড়গে।