সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলন হচ্ছে আরও তীব্রতর। বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে নারী নিরাপত্তা নিয়ে। এমন পরিস্থিতিতেই সোশাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে উচিত শিক্ষার সওয়াল তুললেন রাইমা সেন ও মিমি চক্রবর্তী।
একই পোস্ট শেয়ার করেছেন দুই নায়িকা। যার শুরুতেই "নারী ধর্ষণের শিকার" কথাটি কাটা। তার বদলে লেখা, "পুরুষ নারীকে ধর্ষণ করেছে।" এর পরে কাটা রয়েছে, "কন্যাসন্তানের রক্ষা করুন" বাক্য। তার বদলে লেখা, "নিজের পুত্রসন্তানকে শিক্ষিত করুন।"
[আরও পড়ুন: চোখের জল নিয়েও ট্রোল! নেটিজনদের তোপ রচনার, শঙ্খ কাণ্ডে দাঁড়ালেন ঋতুপর্ণার পাশে]
সবশেষে যে বার্তাটি কাটা রয়েছে তাতে লেখা, "নিজের মেয়েকে বলুন তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে, নিরাপত্তা নেই।" এর বদলে লেখা, "ছেলেকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে বলুন, তাহলেই তো নিরাপদ!"
প্রসঙ্গত, আর জি করের ঘটনার পরই ‘রাত্তিরের সাথী’ নামে নয়া প্রকল্প রাজ্য সরকারের তরফে চালু করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় মহিলাদের জন্য হাসপাতালগুলিতে শৌচালয়-সহ বিশ্রাম কক্ষ তৈরি হবে। রাতের জন্য বাড়তি মহিলা নিরাপত্তারক্ষী থাকবে। নজরদারির জন্য সিসিটিভির আওতায় তৈরি হবে ‘সেফ জোন’ ‘রাত্তিরের সাথী’ মোবাইল অ্যাপ (Mobile App) তৈরি হবে, যা স্থানীয় থানার সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে এবং কোনও ঘটনা ঘটলে বিপদঘণ্টি বাজবে। চালু হবে ২৪ ঘণ্টার হেল্প লাইন নং – ১০০/১১২। হাসপাতালে প্রবেশের সময় সকলের নিরাপত্তা পরীক্ষা, শ্বাস পরীক্ষা করা হবে। কোনও মদ্যপ যাতে হাসপাতালে ঢুকতে না পারেন তার জন্য শ্বাস পরীক্ষা রাতের শিফটে মহিলাদের যথাসম্ভব বাদ রাখার পক্ষে সওয়াল রাজ্য সরকারের। যদি কাজ করতে হয়, তাহলে মহিলারা দুজন কিংবা গোষ্ঠীবদ্ধভাবে কাজ করবেন হাসপাতালের সবকটি তলায় পানীয় জলের ব্যবস্থা রাতের শিফটে পুরুষ-মহিলা কর্মীদের সমানুপাতে রাখতে হবে রাতে কাজের সময়ে কর্মক্ষেত্রে পরিচয়পত্র পরে থাকতে হবে। বেসরকারি সংস্থাকেও ‘রাত্তিরের সাথী’ ইনস্টল করতে হবে।