সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও রাজস্থানের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির থেকে কম আসন পেল কংগ্রেস। যা দলের পক্ষে বড়সড় ধাক্কা। কারণ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল মূলত রাজ্যের শাসকদলের পক্ষে যাওয়ার প্রবণতাই বেশি দেখা যায়। আর তাছাড়া, এতদিন পর্যন্ত শহরাঞ্চলের থেকে গ্রামাঞ্চলেই বেশি সাফল্য পেয়ে আসছিল কংগ্রেস (Congress)। পঞ্চায়েতে বিজেপির থেকে কম আসন পাওয়াটা তাই একই সঙ্গে মরুরাজ্যে গেহলট সরকারের নীতি এবং কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজস্থানের জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতি মিলিয়ে মোট ৪,৩৭১টি আসনের নির্বাচন হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে ১,৮৩৩টি আসনে জয়ী হয়েছেন বিজেপি (BJP) প্রার্থীরা। কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ১,৭১৩টি আসনে। ৪১৩টি আসন গিয়েছে নির্দলদের দখলে। লোকসভার সাংসদ হনুমান বেনিওয়ালের দল রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির দখলে গিয়েছে ৫৬টি আসন। সিপিআই ১৬টি এবং বিএসপি ৩টি আসন পেয়েছে। এনসিপি পেয়েছে ১টি আসন। শুধু তাই নয়, রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গোবিন্দ সিং দোতাসরার নিজের এলাকা এবং একাধিক মন্ত্রীর নিজের বিধানসভা কেন্দ্রেও হারতে হয়েছে কংগ্রেসকে।
[আরও পড়ুন: নিজেদের দাবিতে অনড় দু’পক্ষই, অমিত শাহ-কৃষক বৈঠকেও কাটল না জট]
প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগে তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট (Sachin Pilot), মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণার পর প্রথমবার এত বড় নির্বাচন হল রাজস্থানে। আর তাতেই পরাস্ত হতে হল কংগ্রেসকে। তাও আবার গ্রামীণ এলাকায়। অনেকেই মনে করেছেন, রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা সত্বেও পঞ্চায়েতে এই হার কংগ্রেসের দৈন্যদশার বহিঃপ্রকাশ। আবার অনেকে মনে করছেন, সাংগঠনিক দুর্বলতার থেকেও বড় ফ্যাক্টর হল দলের দুই হেভিওয়েট নেতার দ্বন্দ্ব। সম্প্রতি অশোক গেহলটকে একাধিকবার আশঙ্কা প্রকাশ করতে শোনা গিয়েছে, বিজেপি তাঁর সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Rajasthan Panchayat Election) হারের পর সেই আশঙ্কা যে আরও বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।