সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিএসএফের (BSF) ডিজির পাশাপাশি এবার দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) প্রধানের দায়িত্ব পেলেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা (Rakesh Asthana)। অবসর গ্রহণের তিনদিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে বিবৃতি জারি করে তাঁকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হল। শুধু তাই নয়, এক বছরের জন্য তাঁর চাকরির মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) মন্ত্রিসভার অ্যাপয়েনমেন্টস কমিটির বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাকেশ আস্থানাকে বিশেষ ক্ষেত্রে দিল্লি পুলিশের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হল। আর তাঁর চাকরির মেয়াদও একবছর বৃদ্ধি করা হল। এজন্য গুজরাট ক্যাডার থেকে AGMUT-তে (যেখান থেকে দিল্লি পুলিশের প্রধানকে বেছে নেওয়া হয়) ডেপুটেশনে পাঠানো হল। এর আগে দিল্লি পুলিশের প্রধান এসএন শ্রীবাস্তবের অবসরের পর এক মাস আগেই বালাজি শ্রীবাস্তবকে অন্তর্বতীকালীন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই জায়গায় বসানো হল নরেন্দ্র মোদির পছন্দের রাকেশ আস্থানাকে।
[আরও পড়ুন: Pegasus ইস্যু: সংসদে রণকৌশল স্থির করতে কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী বৈঠক, গরহাজির TMC]
এর আগে ২০১৮ সালে সিবিআই–এর দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিকের মামলা ঘিরে গোটা দেশ উত্তাল হয়েছিল। ওই মামলার কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন রাকেশ আস্থানা এবং সিবিআই–এর প্রধান অলোক বর্মা। আস্থানার বিরুদ্ধে সরাসরি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। সতীশ সানা নামে হায়দরাবাদের এক ব্যবসায়ীর থেকে ঘুষ নেওয়া নিয়ে আস্থানা বনাম বর্মা মামলার পারদ চড়তে থাকে। পাল্টা অলোক বর্মার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন আস্থানাও। আর এই সবের পরেই দু’জনকেই তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই রাকেশ আস্থানাই এবার বিএসএফ–এর ডিজি পদে আসীন হলেন। সূত্রের খবর, ২০২১ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিনি এই পদে থাকবেন এবং এই পদে থেকেই আগামী বছর তিনি অবসর নেবেন। প্রসঙ্গত, আস্থানা ১৯৮৪ ব্যাচের আইপিএস অফিসার। নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো বা NCB–র ডিজি হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বেও তিনি রয়েছেন। ২০০২ সালে গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের মতো বেশি কয়েকটি হাই-প্রোফাইল মামলার দায়িত্বে ছিলেন আস্থানা। এছাড়া ১৯৯৭ সালে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে গ্রেপ্তারও করেছিলেন।