তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: মাঝরাতে হামলা, তা নিয়ে তুমুল রাজনৈতিক তরজার অবসান। জলপাইগুড়ির 'সেবক হাউস' অর্থাৎ রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পত্তির উপর দুষ্কৃতী হামলার চারদিন বৃহস্পতিবার ফের নিজেদের সম্পত্তি ফিরে পেলেন সন্ন্যাসীরা। এদিন নতুন করে 'পজেশন' নিয়ে ভিতরে ঢুকলেন তাঁরা। সঙ্গে ছিল শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানার পুলিশ। মিশনের যে সন্ন্যাসীরা সেবক হাউসে ছিলেন, তাঁরা আপাতত এখানেই থাকবেন। তাঁদের নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী।
গত শনিবার গভীর রাতে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) 'সেবক হাউস', যা রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পত্তি, সেখানে কয়েকজন সশস্ত্র দুষ্কৃতী ঢুকে হামলা (Attack)চালায় বলে অভিযোগ। এনিয়ে ভক্তিনগর থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, ৩০ থেকে ৩৫ জন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সেবক হাউসের ভিতর ঢুকে সেখানকার সন্ন্যাসীদের উপর চড়াও হন। তাঁদের ভয় দেখিয়ে বের করে দেওয়া হয়। লুটপাট করা হয় সেবক হাউসের ভিতর। ভয়ংকর সেই অভিজ্ঞতার কথা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন সেবক হাউসের দায়িত্বপ্রাপ্ত মিশনের সন্ন্যাসী শিব প্রেমানন্দজি মহারাজ। লোকসভা ভোটের (2024 Lok Sabha Election)মাঝে এমন ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সকলেই এনিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন।
[আরও পড়ুন: ‘কাশী-মথুরা বাকি হ্যায়’, ৪০০ আসনের টার্গেট পূরণে পুরনো স্লোগান মনে করালেন হিমন্ত]
এই হামলার ঘটনায় জনৈক প্রদীপ রায়কে মূল অভিযুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি শালুগাড়ার বাসিন্দা। সেবক হাউস তাঁরই পারিবারিক সম্পত্তি বলে দাবি, যা রামকৃষ্ণ মিশনকে (Ram Krishna Mission) দান করা হয়েছিল। সে কারণেই সেখানে থাকতেন মিশনের সন্ন্যাসীরা। মনে করা হচ্ছে, শনিবারের হামলার নেপথ্যে প্রদীপ রায়ের মূল উদ্দেশ্য ছিল, সন্ন্যাসীদের সেখান থেকে তুলে ফের সম্পত্তি নিজে হস্তগত করা। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় তা হয়নি। যদিও প্রদীপ রায় এখনও অধরা। এনিয়ে মিশনের আইনজীবী বিশ্বব্রত বসুমল্লিক জানিয়েছেন, ওই সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়া হল রামকৃষ্ণ মিশনকে। সন্ন্যাসীরা আজ সেখানে গিয়ে 'পজেশন' (Possession) নিয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তের পর ঘটনার চারদিন পর মিশনের সন্ন্যাসীদেরই (Monks) সেবক হাউস ফিরিয়ে দিল ভক্তিনগর থানার পুলিশ। এদিন সেখানে এসে প্রধান সন্ন্যাসী শিবপ্রেমানন্দজি জানান, ''আমরা ফিরেছি। এখানকার খোয়া যাওয়া জিনিসপত্রও আমাদের দেওয়া হয়েছে। আমরা একটু সব মিলিয়ে দেখব। আপাতত এখানেই থাকব আমরা। কয়েকদিন পর থেকে এই জমিতে কাজ শুরু হবে।''