সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: নতুন বছরের অন্যতম বড় আকর্ষণ হতে চলেছে অযোধ্যায় নবনির্মিত রামমন্দির (Ram Temple)। আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় (Ayodhya) এই মন্দিরের উদ্বোধন। তার আগে সাতদিন ধরে চলবে একাধিক ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, বর্ণাঢ্য উৎসব। গোটা দেশের নানা শিল্পের সমাহার হতে চলেছে নতুন রামমন্দির। আর তার প্রবেশপথ সেজে উঠবে বাংলার টেরাকোটা (Teracotta) শিল্পে। কৃষ্ণনগরের শিল্পীর তৈরি ১০০ টি ম্যুরাল থাকবে ‘ধরম পথে’। এখন তাই কাজ শেষের জন্য ব্যস্ততা তুঙ্গে।
কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) টেরাকোটা শিল্প এবার স্থান পেতে চলেছে অযোধ্যার রামমন্দিরে। অযোধ্যার রামমন্দিরের মূল প্রবেশদ্বার ‘ধরমপথে’র দু’ ধারে সাজানো থাকবে এসব ম্যুরাল। প্রতিটি ম্যুরালের (Mural) আকার কুড়ি ফুট বাই দশ ফুট। প্রায় ১০০ টি টেরাকোটার ম্যুরাল থাকবে ‘ধরমপথে’। কৃষ্ণনগরের শিল্পী বিশ্বজিৎ মজুমদার জানান, প্রায় ২৭ জন শিল্পীকে নিয়ে তিনি এই কাজ শুরু করেছেন গত সেপ্টেম্বর মাসে। ১০০ টি ম্যুরাল তৈরি হচ্ছে রামায়ণের কাহিনি অবলম্বনে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। এখনও পর্যন্ত ৬০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানান শিল্পী।
[আরও পড়ুন: ২০২৪-এ ফের ‘হিন্দু হৃদয় সম্রাট’ হবেন মোদি, খোঁচা শশী থারুরের]
এই মুহূর্তে মোট ১৪ জন শিল্পী কাজ করছেন অযোধ্যার রামমন্দিরের প্রবেশ এবং বাকি ১৪ জন শিল্পী রয়েছেন কৃষ্ণনগরের মতি সুন্দরীতে শিল্পীর ওয়ার্কশপে। বিশ্বজিৎবাবু জানালেন, আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে অযোধ্যার একটি সরকারি মিউজিয়ামের জন্য তাঁর শিল্পকর্ম নেওয়া হয়েছিল। সেটা এখনও রয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) তাঁকে সেখানেই ডাকেন। তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, এই শিল্পের ব্যাপারে তিনি বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে এবার রামমন্দিরে মূল প্রবেশ পথ ‘ধরম পথে’ এই শিল্প স্থান পাওয়াতে শিল্পী বিশ্বজিৎ মজুমদার নিজেই গর্ববোধ করছেন।