সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব উষ্ণায়নের (Global Warming)অভিশাপ। উত্তাপ বাড়ছে হিমবাহের, হু হ করে গলছে বরফ। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান আরও উদ্বেগজনক। বছরে ২৫ মিটার করে কমছে হিমবাহের (Glacier) বহর! ২০ বছর আগেও এই সংখ্যাটা ছিল স্রেফ ৫ থেকে ৬ মিটার। দু’দশকে গতি এতটাই বেড়েছে। কারণ এক ও একমাত্র বিশ্ব উষ্ণায়ন।
জায়গাটা গ্রিনল্যান্ড (Greenland)। গত কুড়ি বছরে এখানে হিমবাহের গলনের গতি বেড়ে গিয়েছে পাঁচ গুণ। এমনটাই দাবি কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের। স্যাটেলাইট ছবি এবং প্রায় দু লক্ষ পুরনো ছবি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছেন তাঁরা। উষ্ণায়ন এবং দূষণবৃদ্ধির জেরে গোটা বিশ্বেই হিমবাহ গলছে, একথা সকলেরই জানা। কিন্তু গলনের হার সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই আমজনতার। আর এখানেই দরকার বিশষেজ্ঞদের সমীক্ষা, যা প্রকাশ্যে আসায় উদ্বেগ বাড়ল।
[আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীর গাজা নয়’, একদা সমালোচক শেলা রশিদের মুখেই মোদির জয়গান]
তবে গ্রিনল্যান্ডের বিষয়টি বিশেষ উদ্বেগের। কারণ, এই এলাকায় যে বিপুল পরিমাণ বরফের স্তর রয়েছে, তা যদি সম্পূর্ণ গলে যায়, সমুদ্রের জলরাশি অন্তত ২০ ফুট (৬ মিটার) বৃদ্ধি পাবে। গ্রিনল্যান্ড এলাকায় অন্তত ২২,০০০টি হিমবাহ রয়েছে। গলনের হার (Rate of melting) খতিয়ে দেখে কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূবিজ্ঞান বিভাগ এবং ন্যাচারাল সায়েন্স ম্যানেজমেন্টের সহকারী অধ্যাপক এন্ডার্স অ্যাঙ্কর জর্কের বক্তব্য, ‘‘উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে ভূ-প্রাকৃতিক নানাবিধ পরিবর্তনের যে সম্পর্ক রয়েছে, তা খুব স্পষ্ট। সেই সমস্ত পরিবর্তনেরই সাক্ষী থাকছি আমি। বিশেষ করে হিমবাহের গলনের হার খুবই দ্রুত।’’
[আরও পড়ুন: দলে ‘তরুণ তুর্কি’র বড়ই অভাব! ‘ডিজিটাল সৈনিকে’র খোঁজে বঙ্গ সিপিএম]
আরহাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাইমেট ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা জরগান এইভিন্দ ওলেসেনের দাবি, ‘‘আমরা এই গলন বন্ধ করতে পারি না, তবে রুখে দিতে পারি কিছুটা হলেও। তবে তার জন্য বাতাসে গ্রিন হাউস গ্যাসের (Green house gas) নিঃসরণ অনেকটা কমিয়ে আনতে হবে।’’ প্রসঙ্গত, গ্রিনল্যান্ডে বরফের স্তূপের গলনে ২০০৬ সাল থেকে শুরু করে ২০১৮ পর্যন্ত, সমুদ্রের জলতল বেড়েছে অন্তত ১৭.৩ শতাংশ। আর হিমবাহের গলনের ফলে তা বেড়েছে ২১ শতাংশ।