জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: সন্দেশখালির পর এবার ইডির উপর হামলার তদন্তে বনগাঁয় গেল সিবিআই (CBI)। সোমবার সকালেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সেখানে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় ইডির হাতে ধৃত শংকর আঢ্যর বাড়িতে যান তাঁরা। বাড়ি পুরো ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
গত ৫ জানুয়ারি বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকরকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর অনুগামীরা ইডি আধিকারিকদের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে সিবিআই আজ বনগাঁয় গেলেন। সঙ্গে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। তাঁরা এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করবেন, যা তদন্তে সিবিআইকে সাহায্য করবে। এর আগে গত সপ্তাহে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা, শেখ শাহজাহানের বাড়ি। একইদিনে এখানেও তল্লাশিতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: মুখ পোড়ার ভয়? ব্রিগেডে পালটা সভা চায় না বিজেপি]
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যর বাড়িতে গত ৫ জানুয়ারি তল্লাশি চালাতে যায় ইডি। প্রায় ১৬ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানোর পর রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার পথে আক্রমণের মুখে পড়ে ইডি। শংকর আঢ্যর অনুগামীরা ইডির (ED)কনভয়ে ইট ছোঁড়েন বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁদের দিকে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই একইদিনে সন্দেশখালিতেও শেখ শাহজাহানের বাড়ি গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। শাহজাহান অনুগামীদের তাড়া খেয়ে কার্যত পালিয়ে আসতে হয় তাঁদের। হাই কোর্টের নির্দেশে ইডির উপর এই হামলার ঘটনার তদন্তভার রয়েছে সিবিআইয়ের উপর।
[আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ! বারাকপুরের টিকিট না পেয়ে ‘বিদ্রোহী’ অর্জুন ফিরছেন পদ্ম ব্রিগেডে?]
সোমবার বনগাঁ পৌঁছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা বনগাঁর পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠের বাড়ি ও অফিসে যান। তদন্ত প্রক্রিয়া এগোতে সমস্ত ডিজিটাল এভিডেন্স সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রতিটি জায়গার ছবি তোলা হচ্ছে থ্রি ডি স্ক্যানার দিয়ে। গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে।
দেখুন ভিডিও: