অরিঞ্জয় বোস ও রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: অবিরাম হেরে চলেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এক-দুই নয়, পরপর ছয়-ছয়টা ম্যাচে পরাস্ত বিরাট কোহলিরা। ঘরের মাঠ হোক বা অ্যাওয়ে ম্যাচে বিপক্ষের কাছে প্রতিবারই বিধ্বস্ত আরসিবি। ইডেনেও তার ব্য়তিক্রম হল না। দারুণ লড়াই দিয়েও রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে মাত্র এক রানে হারতে হল ডু প্লেসিসদের। তবে আরসিবির হার এবং কেকেআরের জয়ের চেয়েও রবিবাসরীয় সন্ধেয় চর্চায় উঠে এল বিরাট কোহলির আউট। আউট হতেই মেজাজ হারান প্রাক্তন আরসিবি অধিনায়ক। তর্কে জড়ান আম্পায়ারের সঙ্গেও। এমনকী বিরাটের পাশে দাঁড়িয়ে ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হননি অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিস। কোহলি কি আদৌ আউট ছিলেন? সে নিয়েই দ্বিধা বিভক্ত নেটদুনিয়াও।
ঘটনা আরসিবির ইনিংসের তৃতীয় ওভারের। বল করছিলেন হর্ষিত রানা। প্রথম বলটি খেলার সময় ক্রিজের বাইরে ছিলেন বিরাট। ফুলটস বল সোজা ব্যাটে এসে লাগে। সেখান থেকে বলে যায় হর্ষিতের হাতে। কিন্তু বিরাট দাবি করেন, বল তাঁর কোমরের উপরে ছিল। তাই হিসাব মতো তা নো বল। রিভিউ নেওয়ার প্রসঙ্গ উঠতে ফিল্ড আম্পায়াররা নিজে থেকেই রিভিউ নেন। তৃতীয় আম্পায়ার জানান, বিরাটের কোমরের নিচেই রয়েছে বল। ফলে নো বল হয়নি। সুতরাং মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে। আর এতেই মেজাজ হারান বিরাট (Virat Kohli)।
[আরও পড়ুন: বিজেপি বা তৃণমূল নয়, নির্বাচনী লড়াইয়ে এগিয়ে বামেরাই! কোন শক্তিতে?]
জায়ান্ট স্ক্রিনে 'আউট' লেখা ভেসে ওঠার পর প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটতে শুরু করেও ফিরে আসেন বিরাট। রীতিমতো রাগী ও আগ্রাসী মেজাজে ফিল্ড আম্পায়ারদের দিকে এগিয়ে যান। জড়িয়ে পড়েন তর্কে। এমনকী ডাগ আউটে গিয়েও সতীর্থদের বলের উচ্চতা বোঝাতে দেখা যায় ক্ষুব্ধ বিরাটকে। ম্যাচের পরও আম্পায়ারদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয় কোহলি ও ডু প্লেসিসের। আরসিবি অধিনায়কেরও দাবি, বল কোমরের উপরই ছিল। তাই কোহলি কোনওভাবেই আউট নন। গোটা বিষয়ে আরসিবি শিবির এতটাই ক্ষুব্ধ যে প্রথমে সাংবাদিক সম্মেলন না করেই ইডেন ছাড়ে গোটা টিম। পরে গাড়িতে আলাদা করে এসে সম্মেলনে যোগ দেন ইংলিশ বোলার টপলি।
কোহলির আউট বিতর্কের সঙ্গে এদিন আরসিবির গোদের উপর বিষফোঁড়া হল দলের হার। কারণ এদিনের হারের ফলে তাদের প্লে অফের পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল। কারণ প্লে অফে পৌঁছতে ১৬টির মধ্যে ৮টি ম্যাচ জিততে হয় একটি দলকে। তাই আরসিবি যদি নিজেদের পরের ছটি ম্য়াচও জেতে, তাহলেও প্লে অফে ওঠার আশা কার্যত নেই। সেক্ষেত্রে বড় ব্যবধানে জয় এবং অন্য দলের ফলাফলের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে বিরাটদের।