সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারাদিন অফিস। বাড়ি ফেরার পরেও যে অফিস শেষ, তা নয়। পরিবর্তে কিছু না কিছু কাজের চাপ বর্তমানে থাকেই। তাই পরিবারের লোকজনকে সারাবছর সেভাবে সময় দেওয়া যায় না। কিন্তু পুজোয় ছুটি। অখণ্ড অবসর। এই চার-পাঁচটাদিন পরিজনদের সঙ্গে বেঁধে বেঁধে থাকার সময়। তবে পরিজনরা কি আপনার ব্যক্তিগত পরিসরে বারবার নাক গলাচ্ছেন। দূরত্ব তৈরি করা, কোনও কাজের কথা নয়। বরং তাঁদের গণ্ডি বেঁধে দিতে পারেন। জেনে নিন সেই কৌশল।
* ঘুম থেকে ওঠার পর তাঁদের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটান। একসঙ্গে প্রাতঃরাশ সারুন। গল্পগুজব করুন।
* এরপর সাফ বলে দিন আপনি কিছুটা নিজের মতো করে সময় কাটাতে চান। সেই সময় বাড়ির কারও উপস্থিতি আপনার না-পসন্দ তা ভালোভাবে বুঝিয়ে বলুন।
* অনেকের অভ্যাস থাকে মোবাইলে উঁকিঝুঁকি দেওয়ার। মোবাইল ব্যক্তিগত সামগ্রী। তা দেখা যে কাজের কথা নয়। তা ভালো করে বুঝিয়ে বলুন।
* আপনি ধরুন মোবাইলের আশেপাশে নেই। ফোন বেজেই যাচ্ছে। আপনার অনুমতি না নিয়ে কেউ ফোন ধরলে তাঁকে বাধা দিন। পরিষ্কার বলুন যাঁর দরকার হবে, তিনি পরে ফোন করে নেবেন। অর্থাৎ অন্য কাউকে ফোন ধরতে হবে না।
* অনেক সময় পুজোর ছুটিতে বহু কর্মরত মহিলা বাপের বাড়ি যান। আর সেখানে যাওয়া মানেই শ্বশুরবাড়ি কিংবা আপনার সাংসারিক জীবনে কি বাপের বাড়ির লোকজন নাক গলাচ্ছেন? অনেকে আবার দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়েও কাটাছেঁড়া করেন। তাঁদের বলে দিন, আপনি এসব আলোচনা করতে বাপের বাড়ি আসেননি। শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরাও যে আপনার পরিবারের একজন। তাঁদের নিন্দামন্দ শুনতে আপনি চান না, তা পরিষ্কার করে দিন।
* অবিবাহিতদের বিয়ে এবং বিবাহিতদের পরিবার পরিকল্পনা নিয়েও অনেকে অনধিকার চর্চা করেন। তাঁদেরকে ভালোভাবে বলে দিন, পুজোর দিনগুলিতে আপনি এই নিয়ে আলোচনা করতে চান না।
* পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় যাবেন না। তাঁদের বুঝিয়ে বলুন। প্রত্যেকের জীবনের পথ আলাদা। তাই চেনা গণ্ডিতে যে হাঁটতেই হবে, তা নয়। সুতরাং অন্যের জীবনে নাক গলিয়ে সম্পর্ক যেন তিক্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে বলুন সকলকে।
