সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে অর্থ উপার্জন করেন। আবার সংসারের মানুষগুলির সঙ্গে সময়ও কাটান। কার কোনটা দরকার, তা খেয়াল রাখেন। এককথায় নিজে ছাতা হয়ে গোটা সংসারকে আগলে রাখেন তিনি। সেই বাবার জন্য জুন মাসের তৃতীয় রবিবার 'ফাদার্স ডে' পালন করা হয়। বাবার জন্য বিশেষ দিনের আদৌ দরকার আছে কি নেই, তা নিয়ে যতই কাটাছেঁড়ার অন্ত নেই। তবে এই একটামাত্র দিন একটু অন্যরকমভাবে পালন করতে ক্ষতি তো নেই। কীভাবে গোটা দিনটি বিশেষ করে তুলবেন, তা বুঝতে পারছেন না তাই তো? আপনার জন্য রইল বিশেষ টিপস। আর তাতেই দেখবেন জমে ক্ষীর হবে পিতৃদিবস।
* আপনার বাবা কি বাড়ি থেকে বেরতে একেবারে পছন্দ করেন না? তা হলে বাড়িতে বাবার পছন্দসই খাবার দিয়ে পিকনিকের আয়োজন করতে পারেন।
* বাবা রান্না করতে ভালোবাসেন? বিশেষ দিনে ছুটি নিয়ে বাবাকে রান্নাঘরে সঙ্গত দিতে পারেন।
* রান্নাবান্নার পর জমিয়ে খাওয়াদাওয়া সেরে নিন। বাবার সঙ্গে বসে বাড়িতে কোনও ভালো ছবি কিংবা ওয়েব সিরিজ দেখতে পারেন। তাতে বেশ খানিকটা সময় কাটানো যাবে।
* আপনার বাবা যদি শরীরচর্চা করতে ভালোবাসেন, তাহলে তাঁর সঙ্গে বিশেষ দিনে বেরিয়ে পড়ুন। একসঙ্গে দিনটা শুরু হলে খুশি হবেন তিনি।
* নিত্যদিনের ব্যস্ততায় পরিবারের লোকজনকে সময় দেওয়া যায় না। তাই এই বিশেষ দিনে কিছুটা সময় একসঙ্গে কাটাতে কোথাও বেরিয়ে পড়ুন। নিজের গাড়ি থাকলে তো কথাই নেই। কাছেপিঠে না হয় কোথাও যান। গোটা পরিকল্পনা নিজে করুন। সন্তান সত্যি বড় এবং দায়িত্ববান হয়ে গিয়েছে বুঝলে যেকোনও বাবা খুশি হতে বাধ্য।
মনে রাখবেন, আপনাকে মানুষের মতো মানুষ করে তুলতে গিয়ে বাবাকে একসময় হয়তো অনেক আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। তাই বিশেষ দিনে তাঁকে আনন্দ দিতে কার্পণ্য করবেন না। বরং জমিয়ে উপভোগ করুন।
