সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজেকে কে না ভালোবাসে! কথায় বলে, নিজের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে অন্যকে ভালোরাখা যায় না। কিন্তু তারও তো একটা সীমা রয়েছে। প্রথমদিকে ভালো লাগলেও অতিরিক্ত আত্মপ্রেম, বা ভালোবাসার নামে যে কোনওবিষয়ে চাপ দেওয়ার প্রবণতা কিন্তু সঙ্গীর জীবন করে তুলতে পারে দুর্বিষহ! তাই শুরুতেই বুঝে দেওয়া দরকার সঙ্গী নার্সিসিস্ট কি না। তাই আগেভাগে জেনে রাখুন আত্মপ্রেমীদের চেনার কৌশল।
১. সম্পর্কে মতের অমিল হওয়া খুব স্বাভাবিক। ছোটোখাটো নানাবিষয়ে টুকটাক ঝামেলা সকলেরই হয়। কিন্তু তা একান্তই দুজনের বিষয়। সেখানে তৃতীয় ব্যক্তিকে জড়িয়ে ফেলা কাম্য নয়। একইভাবে অন্য কারও সঙ্গে প্রেমিক বা প্রেমিকার তুলনা করাও ঠিক নয়। কিন্তু নার্সিসিস্টরা ঠিক সেই কাজই করেন। সঙ্গী যদি আপনাকে অন্য কারও সঙ্গে তুলনা করেন, আপনার মধ্যে এমন কিছু বদল চান, যা পরিচিত অন্য কারও রয়েছ, তাহলে সতর্ক হয়ে যান।
২. ভালোবাসা মানে কখনও জোর করে আটকে রাখা বা নিজের ইচ্ছে-অনিচ্ছে চাপিয়ে দেওয়া নয়। প্রেমের মতোই সত্যি বিচ্ছেদ। সঙ্গী কি ভয় দেখিয়ে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন? 'তুমি আমাকে ছেড়ে গেলে তোমার জীবন শেষ করে দেব', হারানোর ভয়ের নামে এহেন হুমকি শুনেছেন তাঁর মুখে? তাহলে জেনে রাখুন নার্সিসিস্টের পাল্লায় পড়েছেন।
৩. এই ধরণের মানুষেরা সত্য গোপন করতে দক্ষ। চারপাশে অনেক কিছু আপনার মনে প্রশ্ন জাগিয়ে তুললেও তিনি নিজের আচরণ দিয়ে আপনাকে ভুলিয়ে দেন নিমেষে। এখানেই শেষ নয়, কোনও কিছুই খোলসা করে বলেন না এরা। এদের হাবভাবেই রহস্য, তবে আচরণে এরা আপনাকে এতটাই মানসিকভাবে দুর্বল করে রাখে যে হাজার অন্যায় জেনেও ফিরে যেতে বাধ্য হন উলটোদিকের মানুষটা।
৪. এরা কখনই চান না যে সঙ্গীরা কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। বন্ধু-বান্ধব বা পরিবার, সকলের থেকে আপনাকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার এক অদ্ভুত ক্ষমতা থাকে এদের। যার ফলে আপনি সঙ্গীর উপর অনেকটা বেশি নির্ভরশীল হয়ে যান, যা দিনশেষে বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়।
৫. বড়সড় অন্যায় করেও এরা ভুল স্বীকার করতে রাজি নন। সরাসরি ক্ষমা এরা চাইবেই না। বদলে বলবে, "তোমার খারাপ লেগেছে তাই দুঃখ প্রকাশ করছি।" অর্থাৎ নিজের অপরাধের জন্য কখনই আত্মগ্লানিতে ভোগেন না এবার। উলটে, 'ভুলভ্রান্তি মানুষ মাত্রেই হয়' তত্ত্বেই বিশ্বাসী হয় এরা।
