সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত। তাই ডিনার সেরে সোজা বিছানায় ঝাঁপ। তারপর চটজলদি ঘুম। পাশে শুয়ে থাকা সঙ্গী যদি কামনার আগুনে জ্বলে ওঠে, আপনার নাক ডাগা শুনে, সেই আগুনে জল। যদি আপনার সঙ্গে এমনটি ঘটে থাকে, তাহলে অবশ্যই এই প্রতিবেদনটি পড়ে নিন। কারণ, এই ঘুমই হতে পারে সঙ্গীকে খুশি করার তুরুপের তাস! হ্যাঁ, ঠিক পড়েছেন, ঘুমের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সঙ্গমের জাদু মন্তর।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঘুমের সঙ্গে যৌনতার দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। কেননা, ঘুম হল আপনার শরীরের চার্জার। সারাদিন যেমন চনমনে থাকতে ঘুম জরুরি, তেমনই যৌনতাকে দীর্ঘ করতে ঘুম দারুণ কাজ করে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, শরীর যত রিল্যাক্স থাকবে, ততই যৌনতার আগুনের বাড়বে তেজ।
ব্যাপারটা আরও বিশদে বলা যাক বরং। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অনেকের জন্য যৌনতৃপ্তি হল যাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যতটা তৃপ্ত হবে যৌনজীবন, ততই ভাল হবে ঘুমের মান। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যৌনতা এবং ঘুমের সরাসরি যোগ রয়েছে। যেমন মহিলাদের ক্ষেত্রে যৌনইচ্ছা দূর হয় ঘুমের অভাবে। এমনই বলছে সাম্প্রতিক এক গবেষণা। যাঁদের অনিদ্রার সমস্যা রয়েছে, তাঁদের যৌনজীবন মসৃণ না থাকার প্রবণতা বেশি। তাই যৌন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক ঘুম দেওয়ার পরেই সঙ্গীকে কাছে টানুন।
[আরও পড়ুন: প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির পঞ্চাশতম ছবি কতটা সুযোগ্য? পড়ুন ‘অযোগ্য’র রিভিউ]
১) শরীরী মিলনের সময় বেছে নিন মোটামুটি রাত ১টা থেকে রাত ২ টোর মধ্যে। তার আগে অন্তত একঘুম দিয়ে নিন। মোটের উপর ১ ঘণ্টা। এতে শরীর বিশ্রাম পাবে। ক্লান্তি কাটিয়ে ফ্রেশ হয়ে উঠবে।
২) বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরুষদের ক্ষেত্রে যত রাত বাড়ে ততই তাঁদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের হার বাড়তে থাকে। আর যার ফলে যৌন ইচ্ছাও বৃদ্ধি পায়। সেই কারণেই এক ঘুম দিয়ে সঙ্গম করলে সেই যৌনক্রিয়া হবে দীর্ঘতর।
৩) ঘুমের অভাবে লিঙ্গ শিথিল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায় পুরুষদের মধ্যে। ফলে যৌন মিলন এবং ঘুমের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ থেকেই যাচ্ছে। তাই ঘুম কিন্তু অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে পুরুষদের জন্য।
৪) যৌনক্রিয়ার পর শরীরে দু’ধরনের হরমোন তৈরি হয়। অক্সিটোসিন এবং প্রোল্যাক্টিন, দু’টিই সুখের ভাব তৈরি করে মনে। তা ছাড়া, সঙ্গমের পর ক্লান্তিও আসে। সব মিলে ঘুম ভাল হয়। তাই সারাদিনের ক্লান্তি কাটিয়ে, যৌনতায় মেতে উঠুন। তার পর আবার ঘুমিয়ে রিচার্জ করে নিন আপনার শরীর ও মনকে।
[আরও পড়ুন: মুরগির ডিম ফাটাতেই বেরল সাপের বাচ্চা! চক্ষু ছানাবড়া জামুরিয়ার বধূর]