সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যদিদং হৃদয়ং মম তদস্তু হৃদয়ং তব। বিয়ে মানে কি কেবল দুটি হৃদয়ের একাকার হয়ে যাওয়া? একথা তো অস্বীকারের কোনও জায়গা নেই, শরীরও এখানে সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিয়েকে (Marriage) কেন্দ্র করে সকলেরই একটা স্বপ্ন থাকে। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় বিয়ের প্রথম বছরে যে বুদবুদে ভরা স্বপ্নদিনের কথা ভাবছিল কোনও তরুণ বা তরুণী, তা একেবারেই সত্যি হল না। বরং শুরুতেই দেখা গেল যৌনতাহীন তিক্ত অভিজ্ঞতায় সম্পর্কে বড়সড় ফাটল। কেন হয় এমন? একটি নয়, নানা কারণেই বিয়ের প্রথম বছরটা হয়ে উঠতে পারে বিষণ্ণ মরুভূমির মতো ফাঁকা। যৌনতার স্পর্শবিহীন।
বিয়ের প্রথম বছর মানেই যৌনতার তুমুল উদযাপন। সাধারণ ভাবে এমনটাই মনে করা হয়। কিন্তু এরই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, শরীর ও মনের সঠিক যুগলবন্দিই সফল দাম্পত্যের মূল ভিত্তি। যদি দুটি মন ঠিকভাবে কাছাকাছি না আসতে পারে, পারস্পরিক প্রত্যাশা, আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ না হয় তাহলে সেখানে যৌনতাও থেকে যায় দূরের তারা হয়ে। দুজনের একজনও যদি সঙ্গীর সঙ্গে যৌনতায় আড়ষ্ট থাকে, দ্বিতীয় জনও দ্রুত আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে থাকে।
[আরও পড়ুন: ‘একনায়কত্ব সব সীমা ছাড়িয়েছে’, কেজরির জামিনে স্থগিতাদেশের পরই মন্তব্য সুনীতা কেজরিওয়ালের]
একই ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে শারীরিক অসুস্থতা। যদি একজন সঙ্গী ধারাবাহিক অসুস্থতা, অবসাদ অথবা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় যৌন ইচ্ছের অভাবে ভোগেন তাহলে যৌনতা মোটেই নিজের জায়গা খুঁজে পায় না। ফলে শরীরী মেলামেশায় তৈরি হয় প্রতিবন্ধকতা।
প্রবল ক্লান্তিও হয়ে উঠতে পারে 'ভিলেন'। আজকের দিনে কাজের প্রবল চাপ, টার্গেট পূরণের ভয়াবহ জাঁতাকলে পড়ে যৌনতা উঠতেই পারে শিকেয়। যদি স্বামী, স্ত্রী দুজনই কিংবা একজনও দৈনন্দিন কাজের চাপে ক্লান্ত থাকেন তাহলে শারীরিক সম্পর্কে ছেদ পড়ে যায়।
[আরও পড়ুন: অগ্নিদেবের কোপ! গরমে দেশে মৃত ১৪৩, প্রকাশ্যে কেন্দ্রের রিপোর্ট]
আর একটা বড় কারণ হতে পারে প্রতারণা। যদি স্বামী অথবা স্ত্রীর মধ্যে একজন 'বিশ্বাসঘাতক' হন অর্থাৎ সম্পর্কের আবডালে মিশে থাকে তঞ্চকতা তাহলে সম্পর্কটাই শেষ হয়ে যেতে থাকে। যার ফলশ্রুতি, যৌনতাহীনতায় কেটে যায় দিনের পর দিন।
যে কোনও সম্পর্কের বুনিয়াদই হল মানসিক সংযোগ। আপনার সঙ্গীর প্রতি যদি আপনার অনুভূতির জায়গাটাই না তৈরি হয় তাহলে তাঁর প্রতি শরীরী আকর্ষণও থাকবে ক্ষণস্থায়ী হয়ে। অচিরেই যৌনতা বুঝি আড়ি করে চলে যায় গলি দিয়ে। বাড়িতে তথা ঘরে আর প্রবেশ করে না।