shono
Advertisement
Lifestyle News

লোকের কথায় কী এসে যায়? বুঝে শুনে দূরত্ব বাড়াতে পারলে সুখী হওয়া আটকায় কে!

সবকিছু নিয়ে ভাবতে যাবেন না। তাতে নিজেরই ক্ষতি।
Published By: Tiyasha SarkarPosted: 05:15 PM Jun 02, 2025Updated: 05:15 PM Jun 02, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চারপাশে নানারকম মতামত। আপনি কেরিয়ারে কত দ্রুত, কতটা এগোলেন, কাকে পিছনে ফেললেন, এসব নিয়ে চর্চা চলতেই থাকে। না চাইলেও এমন কিছু কমেন্টের মুখোমুখি হতে হয়, যা মানসিক চাপ বাড়ায়। এসব থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। এখানেই লুকিয়ে সুখের চাবিকাঠি। কার মন্তব্যকে গুরুত্ব দেবেন, কাকে দেবেন না, তা একবার বুঝে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারলেই কেল্লাফতে। আপনার সুখী হওয়া আটকায় কে!

Advertisement

১. মাথায় রাখবেন, আপনার আশপাশ থেকে ভেসে আসা নানা মন্তব্য থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া মানে কিন্তু সবকিছু থেকে ডিটাচ করে ফেলা নয়। নিজেকেই বুঝতে হবে কোথায় থাকবেন, আর কোথা থেকে গুটিয়ে নেবেন। কারণ, এর সঙ্গে জড়িয়ে আপনার মানসিক শান্তি। যে কারও মতামতকে গুরুত্ব দেবেন না ভুলেও।

২. মাথায় রাখবেন একসঙ্গে সকলের প্রিয় হওয়া কোনওভাবেই সম্ভব নয়। উলটে এতে নিজের ক্ষতি। বন্ধুবান্ধব, সবকর্মীদের খুশি করতে গিয়ে অনেক সময় নিজেকে গুরুত্বহীন মনে হতে পারে। যা আপনার জীবনেরই শান্তি ভঙ্গ করবে।

৩. বর্তমান সময়ে প্রতিদিনই নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। টার্গেট, ডেডলাইনের ভিড়ে বুঝতে হবে কোনটা সত্যিই আপনার জন্য ম্যাটার করে। না বলতে শিখুন। মনের উপর চাপ দিয়ে ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছু করবেন না। মন যা চাইবে সেটাই করবেন।

৪. কোনও কিছুর প্রতি বা কারও প্রতি টান একটা সময়ে হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। প্রজেক্ট হোক বা সম্পর্ক, চেষ্টা করবেন নিজের সেরাটা দেওয়ার। তাতেও যদি সাফল্য না আসে মাথায় রাখবেন সবকিছু নিজের ইচ্ছে মতো বা পরিকল্পনামাফিক হবে না। এটা মেনে নিলেই মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।

৫. দিনভর সোশাল মিডিয়ায় ডুবে থাকেন। আত্মীয়স্বজন-বন্ধুবান্ধবদের দেখে তাঁদের সঙ্গে নিজের তুলনা করেন? তাঁদের তথাকথিত সুখের জীবন দেখে ঈর্ষা হয়? এই ভুলটা করবেন না। যদি সোশাল মিডিয়া চেক করার পর নানারকম চিন্তাভাবনা গ্রাস করে, তাহলে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। নেটদুনিয়ায় থাকার জন্য দিনের নির্ধারিত সময় বেছে নিন।

৬. মাথায় রাখবেন, সব বিষয়ে নিজের মতামত দিতেই হবে, এমনটা একেবারেই নয়। সবকিছু নিয়ে ভাবতে যাবেন না। তাতে নিজেরই ক্ষতি। যা আপনার হাতে নেই, তা নিয়ে ভাবা, গুরুত্ব দেওয়া বন্ধ করুন। মনে রাখবেন, মাঝে মাঝে দু'পা পিছিয়ে যাওয়া ভালো। তা উলটোদিকের মানুষগুলোকে অবহেলা নয়, বরং নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বুঝে শুনে দূরত্ব বাড়াতে পারলে সুখী হওয়া আটকায় কে!
  • মাথায় রাখবেন একসঙ্গে সকলের প্রিয় হওয়া কোনওভাবেই সম্ভব নয়। উলটে এতে নিজের ক্ষতি। বন্ধুবান্ধব, সবকর্মীদের খুশি করতে গিয়ে অনেক সময় নিজেকে গুরুত্বহীন মনে হতে পারে।
  • কোনও কিছুর প্রতি বা কারও প্রতি টান একটা সময়ে হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। প্রজেক্ট হোক বা সম্পর্ক, চেষ্টা করবেন নিজের সেরাটা দেওয়ার। তাতেও যদি সাফল্য না আসে মাথায় রাখবেন সবকিছু নিজের ইচ্ছে মতো বা পরিকল্পনামাফিক হবে না।
Advertisement